লেটেস্ট খবরবিনোদনভাইরাললাইফ স্টাইলরেসিপি

শুধুই কি কবি গুরু! সঙ্গে ছিলেন ভোজনরসিক বাঙালি কি খেতে ভালোবাসতে রবীন্দ্রনাথ?

Published on:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Tagore’s Death Anniversary: আজ, ২২ শ্রাবণ সেই দিন, যেদিন রবি-হারা হয়েছিল জগত । বিশ্ব হারিয়েছিল প্রিয় কবিকে, ঔপ্যনাসিককে, নাট্যকারকে, ছোটগল্পকারকে । অভিভাবক হারা হয় সাহিত্যজগৎ । সোনা যায় অন্যান্য কবিদের মতই বর্ষা ছিল তাঁর প্রিয় ঋতু। কিন্তু, এই বর্ষাতেই গোটা দেশবাসীর মন খারাপ করে চলে গিয়েছিলেন কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।

যিনি আমাদের কাছে বিভিন্ন ছদ্মনামে ধরা দেন। তবে, তিনি ভানুসিংহ, আন্নকালী পাকড়াশী, অকপটচন্দ্র লস্কর ছাড়াও আরও বেশ কয়েকটি ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন । সেগুলি হল নবীন কিশোর শর্মণ, বাণীবিনোদ বিদ্যাবিনোদ, শ্রীমতী কনিষ্ঠা, শ্রীমতী মধ্যমা ।

তবে আজ কিন্তু শুধু কবি গুরু বললে অনেক টা ভুল হবে কারন রবি ঠাকুরের নামের পাশে কবি, ঔপনাসিক ছাড়া আরও একটা বিশেষণ যদি যোগ করা যায়, সেটা হল ভোজনরসিক । খাবার এর সন্ধানে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছেন তিনি দেশ বিদেশে নানা খাবার এর প্রতি আগ্রহ জন্ম নেয় তাঁর মধ্যে। যতই হোক বাঙালি বলে কথা খাদ্য রসিক না হলে চলে। বিদেশের থেকে নানা খাবার এর স্বাদ নিয়ে আসেন ঠাকুর বাড়ি তে। এমন কি খাওয়াতেও ভালবাসতেন তিনি।

ঠাকুরবাড়িতে খাওয়া-দাওয়া প্রায়ই লেগেই থাকত।মৃণালিনী দেবীর হাতের রান্না ছিল তাঁর বড় প্রিয়। খাদ্যরসিক রবি ঠাকুর সকলকে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতেনআর নিজে খাবারের পদ নির্বাচন করতেন।খাওয়াটা উপলক্ষ মাত্র, রান্না ভালো হলেই হল না— খাবার পাত্র, পরিবেশনের প্রণালী, ঘর সাজানো, সবই সুন্দর হওয়া চাই তাঁর।আম ছিল কবির বড় প্রিয় । জাপান, আমেরিকা-সহ বিভিন্ন দেশে যাওয়ার সময় সঙ্গে করে আমও সঙ্গে নিয়ে যেতেন তিনি। এছাড়া রবি ঠাকুরের প্রিয় পদের তালিকায় পরে চালতা দিয়ে মুগ ডাল, কাঁচা ইলিশের ঝোল, নারকেল চিংড়ি, চিতল মাছ, পাঁঠার মাংস, কাবাব এমন কি বিভিন্ন ধরনের পানীয় ।

WhatsApp Group Join Now

শুধু এই খানে শেষ নয় যেমন খেতে ভালোবাসতে তেমনই নিয়মিত ব্যায়াম করতেন লেখক। সঙ্গে ছিল হোমিওপ্যাথি চিকিৎসার উপর বিশ্বাসী । নিজের জমিদারির প্রজাদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পরিষেবা দিয়েছেন তিনি। নিজেও এই পদ্ধতিতে চিকিৎসা নিতে পছন্দ করতেন।

যার প্রথম লেখা ‘জল পড়ে পাতা নরে’ তিনি একবার গান রচনার জন্য বাবার থেকে ৫০০ টাকার চেক উপহার পেয়েছিলেন। এমন কি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর গান রচনার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে বরাবর উৎসাহ দিতেন। আজও দুটি দেশের জাতীয় সঙ্গীত তারই দূরমূল্য কৃতী। সোনার বাংলা কে ভালোবেসে ‘আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালবাসি ‘ আর ভারতের ‘ জনগণ মন অধি’ আজ এই কালজয়ী লেখক, কবি গুরু, ঔপনাসিক, নাট্যকার কে তার মৃত্যু বার্ষিকীতে শ্রদ্ধা জানাই।

আরও পড়ুন: Neem Phooler Madhu: মৌমিতার পরিকল্পনা ব্যর্থ হল! পর্ণাকে কোলে নিয়ে কি শিবের মাথায় জল ঢালবে সৃজন? টিভির আগে ফাঁস আগাম পর্ব

About Author
Adhrit Roy

বিগত প্রায় চার বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেকোনো ধরণের জেনারেল নিউজ লেখায় পারদর্শী।