Aadhaar Card UIDAI: ভারতীয় নাগরিকদের সবচেয়ে বড় প্রমাণপত্র হলো আধার কার্ড। বর্তমানে ব্যাঙ্কের যাবতীয় কাজ থেকে শুরু করে নানান সরকারি প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করার ক্ষেত্রে পরিচয়পত্র থেকে বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশনের জন্য আধার কার্ডের ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আধার সংক্রান্ত নতুন নিয়ম না জানলে সমস্যায় পড়তে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। আধার কার্ড গুরুত্মপূর্ণ ডকুমেন্ট হওয়ায় এই কার্ডের সকল তথ্য সর্বদা আপডেট রাখা জরুরি।
UIDAI এই ক্ষেত্রে নাগরিকদের নানান সুবিধা প্রদান করে থাকে। যার মধ্যে অন্যতম হলো আধার কার্ডের তথ্য সংশোধন বা আপডেটের সুবিধা। তবে এই ক্ষেত্রে সম্প্রতি UIDAI একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যার কারণে আধার কার্ডের নাম পরিবর্তন বা সংশোধন প্রক্রিয়া আগের তুলনায় কঠিন হয়ে গিয়েছে। জানা যাচ্ছে, জালিয়াতির হাত থেকে নাগরিকদের রক্ষা করতেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
এবার থেকে আধার কার্ডে নাম পরিবর্তন বা সংশোধন করতে গ্রাহকদের কিছু নতুন শর্ত পূরণ করতে হবে। UIDAI- এর তরফে জানানো হয়েছে যে, এবার থেকে নাম পরিবর্তনের জন্য গ্রাহকদের গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি প্রদান করতে হবে। অনেকের মনেই প্রশ্ন আসছে এই গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি কি? আসল এটি এমন একটি সরকারি ঘোষণাপত্র যা কোনো ব্যক্তির নাম সংশোধনের বিষয়টিকে প্রকাশ করে। UIDAI কর্তৃপক্ষের মতে, আধার কার্ডে নাম পরিবর্তন করার প্রয়োজন হলে গ্রাহককে গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তিসহ দ্বিতীয় পরিচয় প্রমাণ জমা করতে হবে।
এই দ্বিতীয় পরিচয় প্রমাণে আধার ধারকের পুরো নাম উল্লেখ থাকতে হবে উদাহরণস্বরূপ, প্যান কার্ড, ভোটার আইডি, ড্রাইভিং লাইসেন্স, সার্ভিস আইডি কার্ড, এবং পাসপোর্ট এই ধরনের দ্বিতীয় পরিচয় প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করতে হবে উক্ত গ্রাহক। এর মাধ্যমে UIDAI নিশ্চিত করবে যে, গ্রাহক প্রকৃত ব্যক্তি এবং তাদের নাম সংশোধন প্রয়োজন।
তবে নাম পরিবর্তন বা সংশোধনের ক্ষেত্রে UIDAI দুটি সুযোগ প্রদান করছে। এই প্রক্রিয়া কঠিন হলেও আধার কার্ডের নাম সংশোধন বা পরিবর্তন করতে হলে এখন শুধুমাত্র দুইবার সুযোগ পাবেন নাগরিকরা। সেই কারণে প্রথমবারে নাম পরিবর্তনে ব্যর্থ হলে দ্বিতীয়বারে নাম পরিবর্তনের সুযোগ মিলবে। তবে, একবার নাম সংশোধন বা পরিবর্তন হয়ে গেলে, ভবিষ্যতে সেটি পরিবর্তন করা কঠিন হবে।
এছাড়া, এবার থেকে নামের মধ্যে কিছু ছোটখাটো সংশোধন বা পরিবর্তন করতে চাইলে সেক্ষেত্রেও গ্যাজেট বিজ্ঞপ্তি প্রয়োজন হবে। নতুন নিয়মের দ্বারা UIDAI এমনভাবে কাজ করছে যাতে কোনো ধরনের জালিয়াতি বা অসত্য তথ্য প্রদান করা কোনো নাগরিকের পক্ষে সম্ভব না হয়।