লেটেস্ট খবরবিনোদনভাইরাললাইফ স্টাইলরেসিপি

Tollywood: ‘আপনাকে হারিয়ে দিলাম’..’চারিদিকের অন্ধকার আরও গভীর হলো’… প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ টলিপাড়া!

Published on:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Tollywood: আজ সকালে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন বাংলার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। নিজের প্যাম অ্যাভিনিউর বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। ফুসফুসে জটিল রোগের কারণে ১১ বছর বন্দী থেকেছেন তাঁর সাধের দুই কামরার ওই ফ্ল্যাটে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে শোক প্রকাশ করেছেন টলিউডের একাধিক ব্যক্তি।

এদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রোফাইলে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের একটি ছবি শেয়ার করেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লেখেন, ‘একজন সত্যিকারের ভালো গুনী মানুষ চলে গেলেন …ভালো থাকবেন .. বুদ্ধ বাবুর পরিবারের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা।’

বাদ গেলেন না রূপম ইসলামের পত্নীও। রূপসা দাশগুপ্ত তাঁর টাইমলাইনে এদিন লেখেন, ‘ওঁর জীবনটাই সব থেকে বড় উদাহরণ ছিল সাধারণ ভাবে বেঁচে বড় ভাবনা চিন্তা করার।’

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রয়াণে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করেছেন সিপিএমের অন্যতম সমর্থক এবং কমিউনিস্ট সৌরভ পালোধি। তিনি বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের একটি ছবি শেয়ার করে লেখেন, ‘আমরা সবাই আপনাকে হারিয়ে দিলাম।’

WhatsApp Group Join Now

গায়ক তথা মিউজিক কম্পোজার রণজয় ভট্টাচার্যও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘বাংলার রাজনীতিতে সবচেয়ে প্রিয় ব্যক্তিত্ব যিনি সেই বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য চলে গেলেন। চারিদিকের অন্ধকার আরও গভীর হল। ভালো থাকবেন যেখানেই থাকবেন।’

অরিত্র দত্ত বণিক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যর স্মৃতিচারণে একটি লম্বা পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, ‘অন্যান্য দিনের মতো স্কুল-অফিস টাইমে বাড়িতে গতি নেই, বয়োজ্যেষ্ঠরা সকলে তাদের মতো কাজকর্ম করলেও প্রায় গতিহীন, চুপচাপ, থমথমে। প্রথমে ঘাবড়ে গেলাম, তারপর চোখ পড়লো টিভিতে, হেডলাইন যাচ্ছে- “প্রয়াত বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য “, আমি বেশ খানিকক্ষণ সবাইকে অবজারভ করলাম এঁরা সবাই তো বামপন্থী নয়, কেউ কংগ্রেসী, কেউ বামপন্থী কেউ আবার একনিষ্ঠ তৃণমূল সমর্থক।

কিছুক্ষণ পর উপলব্ধি করলাম, চোখের নিমেষে এঁরা সবাই আসলে এক নিমেষে একটু পিছিয়ে পড়েছেন, ওঁদের চোখের সামনে তখন যে দৃশ্যগুলো ভেসে আসছে এটা তিন-চার দশক আগের, তাঁদের যৌবন, তাঁদের উদ্দম, তাঁদের এম্বিশন, রাজনীতি তখন ওঁদের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত ছিলো। আজ রাজনীতিতে ওঁদের অংশগ্রহণ নেই, ভোটবাক্স, টিভি আর খবরের কাগজের বাইরে নিজেকে ছড়িয়ে দেওয়ার মানসিক ও শারিরীক শক্তিও নেই।

বুদ্ধদেবের মৃত্যুর সাথে এঁরা নিজেদের জীবনের অন্যান্য স্মৃতি ও অভিজ্ঞতাগুলোকে গুছিয়ে আরেকবার দেখার চেষ্টা করছেন। তাই এখনকার ঘড়ির কাটার থেকে ওঁদের একটু গতি কমেছে। স্মৃতি আর গতির মাঝে আটকে গিয়ে আবার বুঝতে পারলাম প্রজন্ম আর প্রজন্মের মাঝের ফারাক কি? উত্তর পেলাম ফারাক একটাই সবার ঘড়িতেই এগারোটা বাজে শুধু সবার অভিজ্ঞতা আর স্মৃতির ওজনটা কম বেশি।’

আরও পড়ুন: Fixed Deposit: মাত্র ১৫ মাসের ফিক্সড ডিপোজিটে ৯% সুদ! চমকপ্রদ অফার দিচ্ছে এই ব্যাঙ্কগুলো

About Author
Adhrit Roy

বিগত প্রায় চার বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেকোনো ধরণের জেনারেল নিউজ লেখায় পারদর্শী।