Sohini-Ranojoy: চলতি মাসের ১৫ই জুলাই গায়ক শোভনের সঙ্গে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন অভিনেত্রী সোহিনী সরকার। আর তার কিছুদিনের মধ্যেই নিজের প্রাক্তনকে নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বছর দুয়েক আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল সোহিনী ও রনজয়ের (Sohini-Ranojoy) বিচ্ছেদের খবর। তার কিছু মাসের মধ্যেই সোহিনী জীবনে আসে শোভন। প্রেমের এক বছর গড়াতে না গড়াতেই গাঁটছড়া বাঁধেন তাঁরা।
এক সময়ে রনজয়ের সঙ্গে ঘর বাঁধার স্বপ্ন দেখেছিলেন সোহিনী। কিন্তু কী এমন ঘটেছিল যার জেরে ভাঙন ধরেছিল বহুদিনের সম্পর্কে! সোহিনী শোভনের সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই সংবাদমাধ্যমের সামনে উদার থেকেছেন রনজয়। বলেছেন, ‘সোহিনী যেখানেই থাকুক, যাঁর সঙ্গেই থাকুক, ও যেন সব সময় সুখী থাকে’। কিন্তু সত্যি কি সোহিনীর সুখ চেয়েছেন তিনি?
তবে সোহিনীর বিয়ের ঠিক পরই অভিনেত্রী সায়ন্তনী গুহঠাকুরতার এক পোস্ট ঘিরে উত্তাল হয়েছে টলিপাড়া। যেখানে ‘প্রাক্তন প্রেমিক থেকে সাবধান’ এমনই সতর্কবার্তা প্রদান করেছেন সায়ন্তনী। সেই পোস্টে সোহিনীর ‘লাভ-রিঅ্যাক্ট’ প্রমাণ করেছিল যে সায়ন্তনীর কথায় সায় দিচ্ছেন অভিনেত্রী। কিন্তু ফের সংবাদমাধ্যমে সায়ন্তনীকে আক্রমণ শানিয়েছেন রণজয়। এরপরই প্রাক্তনকে নিয়ে বিস্ফোরক হয়েছেন সোহিনী।
অনেকেই হয়তো জানেন না প্রায় বছর দশেক আগে রনজয়ের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সায়ন্তনী। এক বিশ্বস্ত সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রণজয়কে আক্রমণ করে সোহিনী বলেন, ‘কেউ উঁচুতে উঠলে তাঁকে নিয়ে সমালোচনা হবে, সেটা স্বাভাবিক।…. সমস্যা সেখানে নয়, সমস্যাটা হল যখন রণজয় বিষ্ণুর মতো মানুষেরা ভাল চাই দেখানোর নাম করে লাগাতার সাক্ষাৎকার দিয়ে চলেছে। কেউ কারও ভাল যদি সত্যি চেয়ে থাকে তবে সে তো আমায় ব্যক্তিগত ভাবে সেই ভাল চাওয়াটা ব্যক্ত করবে।’
সোহিনীর বক্তব্য বিয়ের পর প্রাক্তনের থেকে মিডিয়ার তরফে শুভেচ্ছা বার্তা এলেও ব্যক্তিগতভাবে শুভেচ্ছা জানাননি রনজয়। তাই পুরোটাই ‘লোক দেখানো’ এমনটাই বিশ্বাস করেন সোহিনীর। তিনি আরও বলেন, সায়ন্তনী-রণজয়ের প্রেমের সাক্ষী ছিলেন তিনি। তাই সায়ন্তনীর ফেসবুক পোস্টে লেখা কথা তিনি অস্বীকার করতে পারবেন না। কারণ একই ঘটনায় ভুগতে হয়েছে তাঁকেও। শুধু সায়ন্তনী নয়, রণজয়ের অপর প্রাক্তন প্রিয়াঙ্কা মণ্ডলের কথাও টেনে এনেছেন সোহিনী। প্রিয়াঙ্কাও পেশায় মডলে-অভিনেত্রী। তিনিও সায়ন্তনীর ফেসবুক পোস্টে সমর্থন জানিয়েছিলেন।
সোহিনী জানিয়েছেন, ‘চার বছরের সম্পর্ক ছিল রণজয়-প্রিয়াঙ্কার’। রণজয়ের একসময়ের ‘কাছের মানুষ’রা সবাই মিথ্যে বলছেন? প্রশ্ন তুলেছেন সোহিনী। শোভনকে বিয়ের পর নানা রকম ট্রোলের মুখে পড়তে হয়েছে অভিনেত্রীকে। অনেকেই বলেছেন, শোভনের জন্য নাকি রণজয়কে ঠকিয়েছেন তিনি। তাঁদের সামনে প্রশ্ন রেখে সোহিনী বললেন, ‘ধরা যাক আপনার প্রেমিক কিছু করেন না, দু’বছর ধরে তিনি বসে। সে সময় আপনি তাঁর পাশে আছেন এই ভেবে যে নিশ্চয়ই কিছু একটা হবে। সমবয়সী, মেয়েটি আগে কাজ পেয়েছে, ছেলেটির হয়তো কিছু দিন সময় লাগবে! অবশেষে ছেলেটি চাকরি পেল, আর ঠিক সেই সময়ই কেন ব্রেক-আপ হল?
সোহিনী জানিয়েছেন, ২০২০ সালে রণজয়ের হাতে কাজ ছিল না। এমনকি ২০২১ সালেও টানা ঘরে বসেছিল সে। এরপর ২০২২ সালে রনজয়ের হাতে গুড্ডি ধারাবাহিকের অফার আছে।এদিন তিনি স্পষ্ট বলেন, ‘হয়তো শিগগিরি বিয়েও করতাম আমরা, রণজয় কাজ পেয়েছে, আমার হাতে কাজ রয়েছে, কোনও অসুবিধেই আর নেই… তবু ব্রেক-আপটা কিন্তু হল..’। রণজয় সিরিয়াল পাওয়ার পরই কেন সমস্যার সূত্রপাত হল, সেই প্রশ্ন এদিন সকেলর কাছেই রেখেছেন সোহিনী। শুধু জানিয়েছেন, ‘সম্পর্ক ভাঙতে কেউই চায় না, পরিস্থিতি বাধ্য করে’। সকলের শুভবুদ্ধি হোক, এইটুকুই চাওয়া তাঁর।