School: ভোট পর্ব মিটে গেছে, স্কুলের গরমের ছুটিও শেষ হয়ে গেছে। নতুন করে স্কুল গুলি খুলে গিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছে পঠনপাঠন। স্কুল শুরু হওয়ার পর রাজ্যের শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের জন্য নতুন নির্দেশিকা চালু করা হয়েছে। শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাজ হল ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদান করা তার বাইরে স্কুল চলাকালীন অন্য কাজের সঙ্গে যুক্ত হওয়া কোনো শিক্ষকের উচিত নয়। তাই এবার পড়ানোর বাইরে অন্য কোনো কাজ করলে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নিতে নেওয়া হবে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেওয়া হলো এমনটাই।
রাজ্য সরকারের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে কি জানানো হয়েছে?
- 1. সরকারি কোনো কাজ ছাড়া বা ভোট সংক্রান্ত কোনো কাজ ছাড়া যদি শিক্ষক, শিক্ষিকারা ছুটি নেয় তবে প্রধান শিক্ষক বা স্কুলের কার্যকরী সমিতির কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে।
- 2. শিক্ষক শিক্ষিকাদের মাসে মাসে এই সংক্রান্ত নানান রকম তথ্য স্যালারি রিকুইজেশন স্লিপ এর সঙ্গে জমা দিতে হবে প্রধান শিক্ষকদের কাছে।
- 3. যদি এই নিয়ম না মানা হয়, তাহলে প্রত্যেকেই তদন্ত করা হবে এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
আসলে বিভিন্ন জেলা পরিদর্শকরা বিভিন্ন জেলার শিক্ষক শিক্ষিকাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন, যে শিক্ষক এবং শিক্ষা কর্মীরা স্কুলে অনেক সময় স্কুলের কাজ না করে নানান রকম অপেশাদার কাজ করছেন। তারা অনেক সময় ভোকেশনাল টিউশন বা প্রাইভেট টিউশন বিভিন্ন সময় ব্যক্তিগত বা অরাজনৈতিক কাজ করছেন। তাই শিক্ষা দপ্তরের তরফ থেকে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
এরপর থেকে শিক্ষক শিক্ষিকাদের উপর এবং শিক্ষা কর্মীদের উপর কড়া নজর রাখা হবে। কলেজিয়াম অফ অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার্স অ্যান্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমিস্ট্রেসেস-এর সম্পাদক সৌদীপ্ত দাস জানিয়েছেন, অনেক স্কুলই শিক্ষকদের অন ডিউটি দিয়ে তাঁদের পেশাগত সমস্যা মেটানোর জন্য জেলা পরির্দশকদের অফিসে পাঠাচ্ছে। এই পন্থা অবলম্বন করার পথ বন্ধ করা প্রয়োজন।