Jayrambati Station Trial Run: পূর্ব রেলওয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করল, যা স্থানীয় মানুষদের জন্য এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে উঠেছে। দীর্ঘ ২৫ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জয়রামবাটি স্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। রেল সম্প্রসারণের এই সাফল্য শুধুমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি করবে না, বরং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে (Jayrambati Station Trial Run)।।
জয়রামবাটি স্টেশনে ট্রায়াল রান সফল, রেল পরিষেবার নতুন দিগন্ত
গত বৃহস্পতিবার, রেলওয়ে নিরাপত্তা কমিশন (CRS) এর তত্ত্বাবধানে জয়রামবাটি স্টেশনে ট্রায়াল ট্রেন চালানো হয়। বিকেল ৩:৩০ নাগাদ হাজারো স্থানীয় বাসিন্দা ট্রেনটিকে স্বাগত জানায়।
পরীক্ষামূলক ট্রেন চালানোর মূল দিক
নতুন ৭৯.৪৩ কিলোমিটার ব্রডগেজ লাইনের পরিদর্শন
ট্র্যাক ফিটিং ও ব্রিজের স্থায়িত্ব পরীক্ষা
১১০ কিমি প্রতি ঘণ্টা গতিতে ট্রেনের উচ্চ-গতির ট্রায়াল রান
সিআরএস কমিশনার শুভময় মিত্র শেওড়াফুলি স্টেশন থেকে জয়রামবাটি পর্যন্ত নতুন রেলপথ পরিদর্শন করেন। বারো গোপীনাথপুর থেকে জয়রামবাটি স্টেশন পর্যন্ত ট্র্যাকের স্থায়িত্ব ও নিরাপত্তা পরীক্ষা করতে একটি মোটর ট্রলি ব্যবহার করা হয় (Jayrambati Station Trial Run)।
নতুন রেল লাইন চালু হলে কী সুবিধা পাবেন যাত্রীরা?
জয়রামবাটি স্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় যাত্রী এবং মালবাহী ট্রেন উভয় ক্ষেত্রেই সুবিধা আসবে। এর ফলে—
রেল পরিষেবা আরও উন্নত হবে
অর্থনৈতিক বিকাশ ত্বরান্বিত হবে
স্থানীয় মানুষদের যাতায়াত আরও সহজ হবে
নিয়মিত ট্রেন চলাচল কবে থেকে শুরু হবে?
তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুর রেলপথ প্রকল্পের অধীনে জয়রামবাটি স্টেশনের টিকিট কাউন্টার এবং অন্যান্য পরিকাঠামো প্রায় সম্পূর্ণ। আশা করা হচ্ছে, খুব শীঘ্রই নিয়মিত ট্রেন পরিষেবা শুরু হবে।
দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে চলা অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে জয়রামবাটি স্টেশনে ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে। নতুন এই রেল সংযোগ পরিবহন ব্যবস্থা উন্নত করবে, বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড বাড়াবে, এবং সার্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।