Prosenjit Chatterjee: বর্তমানে টলিউড ইন্ডাস্ট্রি বলতে একজনকেই বোঝায়। তিনি হলেন সকলের প্রিয় প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। দীর্ঘ কয়েক দশক ধরেই টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের রাজত্ব চালিয়ে আসছেন বুম্বাদা।সেই ৯০ এর দশক থেকে একাধিক ছবিতে অভিনয় করে দর্শকের মন জিতে নিয়েছেন তিনি। এখনো সমানভাবে অভিনয় করে চলেছেন বাকি সমস্ত জুনিয়র অ্যাক্টরদের সঙ্গে তালে তাল মিলিয়ে অভিনয় করছেন তিনি।
বয়স যে ৫০ পেরিয়ে গেছে সেটা তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই। সময়ের সাথে সাথে বিভিন্ন রকম ছবিতে অভিনয় করেছেন। তার অভিনয় করার ধরনও বদলেছে। আগের চেয়ে একদম ভিন্ন ধরনের ছবিতে অভিনয় করতে দেখা যায় প্রসেনজিৎকে। তবে নিজের কর্মজীবনে তিনি যতটাই সফল হোক না কেন তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিন্তু বরাবরই চর্চা হয় দর্শকমহলে। তার বিবাহিত জীবন নিয়ে একাধিকবার চর্চা হয়েছে।
প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের প্রথম স্ত্রী দেবশ্রী রায়। ছবিতে অভিনয় করার সময় একে অপরের প্রেমে পড়েন তারা। তারপরে সেই প্রেম গড়ায় বিয়ের মন্ডপ পর্যন্ত। তবে বিয়ের কয়েক বছর যেতে না যেতেই তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ হয়। ১৯৯২ সালে দেবশ্রী সঙ্গে ঘর বাঁধন প্রসেনজিৎ। তবে তিন বছর যেতে না যেতেই তাদের সংসারে ভাঙ্গন ধরে। বর্তমানে বিয়ে ভেঙে যাওয়ার পরেও স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে একে অপরের যোগাযোগ থাকে।
তবে প্রসেনজিৎ দেবশ্রীর বিয়ে ভাঙ্গার পর তাদের মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। আজ প্রায় তিন দশক পেরিয়ে গিয়েছে কিন্তু তাদের মধ্যে দূরত্ব এখনো মেটেনি। বরং প্রসেনজিৎ এর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর আর কখনো তার জীবনে অন্য কোন পুরুষকে জায়গা দেননি দেবশ্রী। বরং অভিনয়, ক্যারিয়ার, রাজনীতি এসব নিয়েই তার বাকি জীবনটা কেটে গিয়েছে। কিন্তু অন্যদিকে দেবশ্রীর পর অপর্ণা গুহঠাকুরতার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন বুম্বাদা। ১৯৯৭ সালে তারা বিয়ে করেন। কিন্তু এবারেও বিয়ে টেকেনি অভিনেতার। বারবার এই বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটায় একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেতা। সেইসময় তার পাশে এসে হাত ধরে অভিনেত্রী অর্পিতা চ্যাটার্জি।
বর্তমানে অর্পিতা ও ছেলে কে নিয়ে দিব্যি আছেন অভিনেতা। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানান ‘আমি স্বামী হিসাবে পুরোপুরি অযোগ্য। স্বামী হিসাবে আমি গ্রেট নই। এমন নয় যে আমি খারাপ, তবে ওভারঅল দেখলে মনে হবে আমি সঠিক মানুষ নই। তার মানে এই নয় যে আমি ভিলেন। আমি বাবা হিসাবে অনেকটাই দিই। কিন্তু সামনের লোকটার জন্য সেটা নাই মনে হতে পারে।’ প্রসেনজিৎ-অর্পিতার একমাত্র পুত্র তৃষাণজিৎ। সদ্যই স্নাতক ডিগ্রি হাতে পেয়েছে সে।
তৃষাণজিতের ডাকনাম মিশুক। ছেলের বিশেষ দিনটায় পাশে ছিলেন অভিনেতা। তবে বাবা হিসাবে নিজেকে ‘যোগ্য’ সার্টিফিকেট দিয়েছেন প্রসেনজিৎ।তৃষাণজিৎ দক্ষিণ ভারতের কোদাইকানাল ইন্টারন্যাশন্যাল স্কুল থেকে স্নাতক ডিগ্রি পাস করেছে। ছেলের স্নাতকের শংসাপত্র পাওয়ার মুহূর্তের সেই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়াতে সকলের সঙ্গে শেয়ার করেছেন তিনি। ভিডিওটি শেয়ার করে অভিনেতা লিখেছেন ‘আজ নিজেকে গর্বিত বাবা মনে হচ্ছে।
কারণ, আমার ছেলে মিশুক স্নাতক হল। ওর জীবনের এমন এক মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে পেরে গর্বিত। অনেক শুভেচ্ছা। ভবিষ্যতে আরও সাফল্য পাও।’ তবে একমাত্র পুত্র সন্তানই নয়, আরও একজন এক কন্যা সন্তানও আছে প্রসেনজিৎ এর। তার নাম প্রেরণা। বুম্বাদার দ্বিতীয় স্ত্রী অপর্ণা গুহঠাকুরতার একমাত্র কন্যা সে। ইউরোপে থাকে, সেখানে তাঁর পড়াশোনা। তবে বাবার সঙ্গে তার কোনও যোগাযোগ নেই।
আরও পড়ুন: School: শিক্ষকদের জন্য কঠোর ব্যবস্থা রাজ্য সরকারের, কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জানুন