লেটেস্ট খবর বিনোদন অফবিট রাশিফল পশ্চিমবঙ্গ ভারত খেলা চাকরি টাকা পয়সা টেক আবহাওয়া পলিসি

Post Office MIS Scheme: জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খুললেই মাসে ১০ হাজার টাকা! পোস্ট অফিসের এই স্কিমে বিনিয়োগ করলে নিশ্চিত আয়!

Published on:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Post Office MIS Scheme: বর্তমান সময়ে আর্থিক স্থিতিশীলতা অনেকের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ। শেয়ারবাজার (Stock Market) ঝুঁকিপূর্ণ, মিউচুয়াল ফান্ড (Mutual Funds) দীর্ঘমেয়াদী, আর ব্যাংকের ফিক্সড ডিপোজিট (Fixed Deposit) সুদ কম। তাই এমন বিনিয়োগের বিকল্প খুঁজছেন অনেকেই, যেখানে ঝুঁকি কম কিন্তু প্রতি মাসে নিশ্চিত আয় পাওয়া যায়। বিশেষ করে যাঁরা অবসরপ্রাপ্ত বা স্থায়ী আয়ের নিশ্চয়তা চান, তাঁদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

মাসিক আয়ের জন্য বিনিয়োগ কতটা জরুরি?

বিভিন্ন জরিপ বলছে, শহর হোক বা গ্রাম, বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত মানুষ মাসিক আয়ের (Monthly Income) নিশ্চয়তা চান। কিন্তু অধিকাংশ বিনিয়োগ স্কিমে (Investment Scheme) দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয় লাভ পাওয়ার জন্য। এমন পরিস্থিতিতে পোস্ট অফিসের (Post Office) একটি স্কিম ব্যাপক জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, যেখানে প্রতি মাসে সুদ পাওয়া যায়। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী মিলে যদি যৌথভাবে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়, তাহলে আরও বেশি লাভ পাওয়া যায়।

কীভাবে কাজ করে Post Office MIS?

পোস্ট অফিসের মাসিক আয় স্কিম (Post Office Monthly Income Scheme – MIS) মূলত এক ধরনের ফিক্সড ডিপোজিট (FD), যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে সুদ (Interest) পাওয়া যায়। একক অ্যাকাউন্টে সর্বোচ্চ ৯ লক্ষ টাকা এবং যৌথ অ্যাকাউন্টে (Joint Account) ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত বিনিয়োগ করা যায়। বর্তমান সুদের হার অনুযায়ী, ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে ৯,২৫০/- টাকা আয় হবে। ৫ বছর পর মূল টাকা ফেরত পাওয়া যায়, তাই এটি একেবারে নিরাপদ।

কেন এই স্কিম লাভজনক?

এই স্কিম ভারতের পোস্ট অফিসের অধীনে পরিচালিত, ফলে এটি ১০০% নিরাপদ (Safe Investment)। পাঁচ বছর পর মূল টাকা ফেরত পাওয়া যায়, তাই ঝুঁকি নেই। যাঁরা চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন, বা নির্ভরযোগ্য মাসিক আয়ের (Monthly Return) বিকল্প খুঁজছেন, তাঁদের জন্য এটি উপযুক্ত। স্বামী-স্ত্রী মিলে যৌথ অ্যাকাউন্ট খোলার সুবিধাও রয়েছে।

কীভাবে আবেদন করবেন?

এই স্কিমে অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য নিকটবর্তী পোস্ট অফিসে (Post Office) যেতে হবে। প্রয়োজনীয় নথির মধ্যে রয়েছে আধার কার্ড (Aadhaar Card), প্যান কার্ড (PAN Card), ঠিকানার প্রমাণ (Address Proof) এবং ব্যাংক ডিটেইলস (Bank Details)। সহজ প্রক্রিয়া, স্থায়ী আয়ের নিশ্চয়তা এবং বিনিয়োগের নিরাপত্তা – সব মিলিয়ে এটি মধ্যবিত্তের জন্য সেরা বিনিয়োগের বিকল্প।

আরও পড়ুন। Daily Horoscope: মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে অর্থলাভ হবে এই ৫ রাশির! দেখে নিন ২৫শে মার্চের রাশিফল

About Author