Onion Rate: ইদ (Eid) মানেই উৎসব, আনন্দ, আর জমিয়ে খাওয়া-দাওয়া। কিন্তু উৎসবের ঠিক আগে পিঁয়াজের (onion) অস্বাভাবিক দাম বাড়ায় অনেকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। খাবারের স্বাদ বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ এই উপাদানটির দাম হঠাৎ করেই আকাশছোঁয়া হয়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে ব্যবসায়ীদের মধ্যেও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে খুচরা বাজারে পিঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৭০-৮০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে, যা অনেকের জন্যই বাড়তি চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশের মতো বড় উৎপাদনকারী রাজ্যগুলিতে সরবরাহ কম থাকায় পাইকারি বাজারেও মূল্যবৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে। এদিকে, ইদের আগের বাজারে এই অতিরিক্ত দামের ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ ক্রেতারা।
সরকারের নজরদারিতে পিঁয়াজের বাজার
মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখতে কেন্দ্র সরকার বাজারের উপর কড়া নজর রেখেছে। চলতি বছরে বাফার স্টকের পরিমাণ ২০% বাড়িয়ে ৩ লক্ষ টন করা হয়েছে, যাতে অভ্যন্তরীণ বাজারে পিঁয়াজের সরবরাহ নিশ্চিত থাকে। পাশাপাশি, পাইকারি বাজারের উপর নজরদারি চালিয়ে সরকার কৃত্রিম সংকট রুখতে চাইছে।
রফতানি নিষেধাজ্ঞা এবং খোলাবাজারে বিক্রি
পিঁয়াজের মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে—৩১ মার্চ পর্যন্ত পিঁয়াজ রফতানির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এছাড়া, ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন (NCCF) এবং ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন (NAFED)-এর মাধ্যমে খোলাবাজারে ভর্তুকিযুক্ত মূল্যে প্রতি কেজি ২৫ টাকায় পিঁয়াজ বিক্রি করা হচ্ছে।
ইদের আগে দাম কমার সম্ভাবনা
সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ইদের আগেই পিঁয়াজের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। বাফার স্টক থেকে সরবরাহ বাড়ানো এবং নিয়ন্ত্রিত মূল্যে বিক্রির ফলে বাজারে স্থিতিশীলতা আসতে পারে। সাধারণ মানুষ আশায় বুক বাঁধছেন যে উৎসবের বাজারে আরেকবার হাসি ফুটবে, আর বাড়ির হেঁসেলেও ফিরবে স্বাভাবিক ছন্দ।