লেটেস্ট খবরবিনোদনভাইরাললাইফ স্টাইলরেসিপি

‘চন্দ্রযান ৩’ উক্ষেপনের কাউন্টডাউনের পিছনে থাকা কণ্ঠস্বর চিরতরে থেমে গেল! প্রয়াণে শোকস্তব্ধ বিজ্ঞানী মহল

Published on:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন ইসরোর বিজ্ঞানী। একদিকে চন্দ্রযানের সাফল্যে গোটা দেশ যেখানে মুগ্ধ, সেখানে দেশ হারালো এক বিজ্ঞানীকে। দীর্ঘদিন ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (ISRO) সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এমন কি ‘চন্দ্রযান-৩’ উৎক্ষেপণের সময় তার কণ্ঠস্বরই শোনা গিয়েছিল কাউন্টডাউনে। এই বিজ্ঞানীর নাম এন. বলরমাতি (N. Valarmathi)। যিনি আজ হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

‘চন্দ্রযান-৩’ (Chanrayaan 3) থেকে শুরু করে ইসরো-র একাধিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের সাক্ষী থেকেছে বিজ্ঞানী এন. বলরমাতি। ‘চন্দ্রযান-৩’-র ক্ষেত্রও তিনি এই প্রজেক্টের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন। সারা দেশ যখন ‘চন্দ্রযান ৩’ রকেটের দিকে তাকিয়ে ছিল, তখন শোনা যাচ্ছিল একটাই কণ্ঠস্বর কাউন্টডাউন শুরু ১০, ৯, ৮ থেকে ১ হতেই লঞ্চ হয়েছিল এই যান। বিজ্ঞানী ভালারমাথিই এই কন্ঠস্বর দিয়েছিলেন। তবে এই কন্ঠস্বর চিরতরে যেন থমকে গেল।

N. Valarmathi
N. Valarmathi

গত শনিবার অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটায় মৃত্যুবরণ করেন এই মহিলা বিজ্ঞানী। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স ছিল ৬৪ বছর। গত ১৪ই জুলাই শ্রীহরিকোটা থেকে যে চন্দ্রযান লঞ্চ করা হয়েছিল, তাতেই তিনি শেষ কন্ঠ দিয়েছেন। এর আগে তিনি ইসরোর আরো অনেক রকেট লঞ্চের কাউন্টডাউন কণ্ঠস্বর দিয়েছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশবাসী গভীর ভাবে শোকাহত। দেশ এক বিজ্ঞানীকে হারালো, বিজ্ঞানী মহলে যার শূন্যস্থান থেকেই যাবে।

প্রসঙ্গত, বিজ্ঞানী বলরমাতি তামিলনাড়ুর আরিয়ালুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ছোট থেকেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রতি বেশ ঝোঁক ছিল। আর তাই অল্প বয়সেই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে ইসরোর যোগ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর থেকে বহু মহাকাশ গবেষণার সাক্ষী ছিলেন তিনি। ইসরো একটি টুইট করে তাঁর মৃত্যুর খবর দেশবাসীকে জানিয়েছে। জানিয়ে রাখি, মহাকাশ গবেষণার তাঁর অসামান্য কৃতিত্বের জন্য তামিলনাড়ু সরকার তাঁকে আব্দুল কালাম পুরস্কারে সম্মানিত করেছিলেন। এই বিজ্ঞানীর অপ্রত্যাশিত মৃত্যুতে মর্মাহত দেশবাসী।

WhatsApp Group Join Now
About Author
Adhrit Roy

বিগত প্রায় চার বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেকোনো ধরণের জেনারেল নিউজ লেখায় পারদর্শী।

Leave a Comment