বর্তমানে সব থেকে জনপ্রিয় ধারাবাহিকের মধ্যে অন্যতম হলো “কার কাছে কই মনের কথা”। শুরু থেকেই এই সিরিয়ালকে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে চলছে তর্ক বিতর্ক। একদিকে যেমন শাশুড়ি পক্ষের কাছে এই সিরিয়াল প্রতি বাড়াবাড়ি তেমন অন্যদিকে বৌমা পক্ষদের কাছে একেবারে ঠিকঠাক সিরিয়াল এটি। এই ধারাবাহিক শিমুল এমন অনেক কথা বলছেন যা হয়তো অনেক বাড়ির বউরা বলে উঠতে পারে না।
তথাকথিত সমস্ত অত্যাচার মাথা পেতে সহ্য না করে রুখে দাঁড়ানোর অন্য নাম শিমুল। বাপের বাড়িতে ঠাই হবে না জেনেও কখনই শ্বশুরবাড়ির সমস্ত অত্যাচার সহ্য করে না সে। প্রয়োজনে লড়াই করবে তবুও মাথা নিচু করে সহ্য করবে না এমনই একটি ক্যারেক্টার আমরা বহুদিন বাদে দেখতে পেলাম সিরিয়ালের মাধ্যমে।
সম্প্রতি ধারাবাহিক দেখানো হচ্ছে শিমুল এবং তার বান্ধবী সুচরিতা বিপাশা এবং শির্সা ও দুই ননদ বেড়াতে গেছে মন্দারমনি। বন্ধুদের সঙ্গে প্রথম বাড়ির বাইরে বেরোল শিমুল। প্রথম সমুদ্রের স্বাদ পেল শিমুলের ননদ পুতুল।বাড়ি থেকে এত দূরে এসে পুতুলের আনন্দ আর ধরে না। তবে এই আনন্দের মাঝেই ঘটে গেল একটা বিপদ। জীবনে প্রথম একা বেরিয়ে পুতুলের এতটাই সাহস হয়ে যায় যে সে একা একাই সমুদ্রে স্নান করতে চলে যায়। কিন্তু টাল সামলাতে না পেরে অনেকটাই ভেতরে চলে যায় সমুদ্রের এবং নিজেকে ধরে রাখতে পারে না সে।
এদিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পুতুলকে খুঁজে পায় না শিমুল এবং বাকিরা। বেড়াতে এসে এই যে কি বিপদে পড়ল সবাই, তা দেখে মন খারাপ হয়ে যায় সকলের। এদিকে আবার সুচরিতার স্বামী তার প্রেমিকাকে নিয়ে একই হোটেলে উঠেছে। সুচরিতার মেয়ের ধুম জ্বর। সব মিলিয়ে এত আনন্দ যে এই ভাবে মাটি হয়ে যাবে তা দেখে একটু হলেও খারাপ লাগছে দর্শকদের।
তবে সব থেকে খারাপ সময় চলছে শিমুলের কারণ শাশুড়ির বারণ সত্ত্বেও সে জোর করে পুতুলদিকে নিয়ে এসেছিল মন্দারমনিতে। পুতুলদিকে ফিরিয়ে না নিয়ে যেতে পারলে আর রক্ষে নেই তার। কিন্তু বাড়িতে ফিরতেই হবে। বাড়ি ফিরতে না ফিরতেই একমাত্র মেয়েকে দেখতে না পেয়ে শাশুড়ি নিজেকে আটকাতে পারলেন না এবং চড় বসিয়ে দিলেন শিমুলের গালে। তবে এ ঘটনা এখনো সম্প্রচারিত করা হয়নি টিভিতে। সোশ্যাল মিডিয়া ফ্যান পেজ গুলি তরফ থেকে এই পর্ব প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি। তবে পুতুলদিকে কি আদৌ খুঁজে পাওয়া যাবে বা পুতুল দিকে খুঁজে না পেলে শিমুলের ভাগ্যে কি রয়েছে তা জানার জন্য ভীষণ উৎসুক দর্শকরা।