Nandiny Di’r Hessel:লকডাউনের সময় কলকাতার ডালহৌসি চত্বরের পাইস হোটেলের নন্দিনীদির কথা নিশ্চয়ই সকলেরই মনে আছে। সেই সময় দারুন ভাইরাল হয়েছিলেন নন্দিনী (Nandiny Di’r Hessel)। তারপর থেকে তার পাইস হোটেলে বাড়ছিল বিভিন্ন ফুড ব্লগারদের ভিড়। ফুড ব্লগাররা হোটেলের ভিডিও করে আপলোড করা মাত্রই ভাইরাল হয়ে পড়ছিল ওই পাইস হোটেল।
অন্যান্য পাইস হোটেলের মত নন্দিনীদিও নিজের হোটেলে ডাল, ভাত, মাছ বিক্রি করে রীতিমতো ফেমাস হয়ে উঠেছিলেন। এতটাই ফেমাস হয়ে গিয়েছিলেন যে সিনেমাতে অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল নাকি তার কাছে। তবে এবারে হঠাৎই নন্দিনীদির মুখে শোনা গিয়েছে ডালহৌসিফ চত্বরে নন্দিনীর ওই ভাতের হোটেল নাকি বন্ধ হতে চলেছে। নন্দিনী দি আগেই জানিয়েছিলেন তাদের কোনো একদিন সেখান থেকে উঠে যেতে হতে পারে। এবার সেটাই হলো, দোকান ছাড়তে হচ্ছে তাকে এবং তার বাবাকে।
একজন ফুড ব্লগার কে নন্দিনীদি বলেন ‘বলতে পারো জোর করা হয়েছে। আমার বলার কিছুই নেই। আমার বাবাকে ভাড়ায় দিয়েছিল। বাবা লকডাউনের আগে নিয়েছিল। নিজের জিনিসে প্রভাব খাটানো যায়। অন্যের জিনিসে যায় না।’, তবে নন্দিনী মাসখানেক আগেই দোকান খুলেছিলেন নিউটাউন চত্বরে। যার নাম রেখেছিলেন নন্দিনীদির হেঁশেল। সেই দোকানটায় চলবে এখন থেকে। নন্দিনীকে আরও বলতে শোনা গেল, ‘ওখানে আর মা-বাবাকে কতদিন রাখতাম। মাথার উপরে ছাদ ছিল না। ব্যবসার কথা বললে, এখানে আরও বেশি রোজগার হচ্ছে।’
এই খবর পেয়ে অনেকে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি বেশিরভাগ মানুষই নেতিবাচক কমেন্ট করেছেন। অনেকেই নন্দিনীর দোকান উচ্ছেদ হয়ে যাওয়ার কারণে খুশি হয়েছেন। কমেন্ট বক্স ভরে গিয়েছে সেই সব কমেন্টে। অনেকেই জানিয়েছেন যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে, নন্দিনীর দম্ভ নাকি বেড়ে গিয়েছিল। আর সেই কারণে খাবারের দাম অতিরিক্ত নিচ্ছিল নিজের হোটেলে। যেখানে একই খাবার প্রায় ৫০ টাকার ভেতরে পাওয়া যাচ্ছে সেই খাবারের দাম নাকি নন্দিনী ৮০ টাকা ১০০ টাকা নিচ্ছিলেন।।