Paris Olympic 2024: গোটা দেশ এখন মেতে রয়েছে প্যারিসের অলিম্পিক গেমস নিয়ে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু পর্ব শেষ হয়েছে। যেখানে ভারত শুটিংয়ে ব্রোঞ্জ জয় করেছে। মনু এবং সরবজিৎ মিলে ভারতকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে অনেক দূর। তবে এবারে প্যারিস অলিম্পিকের এক ঘটনা সকলকে নাড়িয়ে তুলেছে। আমার প্রত্যেক জানি অলিম্পিকের পদক সকলের কাছে কতটা অমূল্য।
অনেকেই এই পদকের স্বাদ ইতিমধ্যে উপলব্ধি করেছেন। আবার অনেকে জয়ের কাছে গিয়ে ফিরে এসেছেন। তবে আজ যার গল্প আপনাদের সঙ্গে ভাগ করব তার অলিম্পিক পদক জেতা না হলেও অসংখ্য মানুষ কুর্নিশ জানিয়েছেন তাকে। মিশরীয় ফেন্সার নাদা হাফেজ পদক পাননি৷ দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিযোগী হা–ইয়াং জিওনের কাছে রাউন্ড অফ সিক্সটিনে ৭-১৫ পয়েন্টে হেরে গিয়েছেন তিনি৷
আজ তার গল্পই বলব আপনাদের। ফেন্সার নাদা হাফেজ পদক পাননি কিন্তু এই পরাজিত ফেন্সারকে কুর্নিশ জানাচ্ছে গোটা পৃথিবী। নাদা হাফেজ ৭ মাসের অন্তঃসত্ত্বা! হ্যাঁ গর্ভে সন্তানকে নিয়েই তিনি লড়াই করতে এসেছিলেন অলিম্পিকে। তাঁর কাহিনী শুনে অসংখ্য মানুষ শিহরিত হচ্ছেন, কুর্নিশ জানিয়েছেন প্রত্যেকে।
২৬ বছরের এই ফেন্সার পেশায় একজন প্যাথলজিস্ট। তিনি এই নিয়ে তৃতীয়বার ফেন্সিংয়ে মেয়েদের ব্যক্তিগত স্যাবরে ইভেন্টে অংশ নিয়েছেন। এই বছর শেষ ষোলোয় উঠেছিলেন, কিন্তু তারপর আর এগোতে পারেননি। ফেন্সিং স্ট্রিপ ছাড়ার সময় হবু মায়ের চোখ থেকে বেয়ে পড়ছিল জল। যা দেখেছে গোটা দুনিয়া। শুধু দেখেনি, নাদাকে ভরিয়ে দিয়েছে ভালোবাসায়-শুভেচ্ছায়।
অলিম্পিক থেকে ছিটকে যাওয়ার পর ইন্সটাগ্রামে অসাধারণ মর্মস্পর্শী পোস্ট করেছেন নাদা৷ তিনি লিখেছেন, ‘পোডিয়ামে আপনারা দু’জন খেলোয়াড়কে দেখেছেন, আসলে আমরা তিনজন ছিলাম! আমি, আমার প্রতিদ্বন্দ্বী এবং আমার ছোট্ট সন্তান, যে এখনও পৃথিবীতে আসেনি।… গর্ভাবস্থায় যে রোলারকোস্টার যাত্রা চলে, তা এমনিতেই কঠিন। তবে জীবন ও খেলাধুলার ভারসাম্য ঠিক রাখার জন্য এই লড়াই কোনও অংশে কম ছিল না।.. আমি তিনবারের অলিম্পিয়ান। তবে এই অলিম্পিক্স একদম আলাদা। কারণ আমার সঙ্গে ছোট্ট অলিম্পিয়ানও ছিল।’ সেই সাথে নিজের পরিবার ও স্বামী কে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছে।