লেটেস্ট খবরবিনোদনভাইরাললাইফ স্টাইলরেসিপি

Durga Puja 2024: পূর্বে দশমীতে ওড়ানো হতো নীলকন্ঠ পাখি! কিন্তু কেনই বা তা বন্ধ হলো? জানুন আসল কারণ

Published on:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Durga Puja 2024: কেউ কেউ বলে থাকেন তিনি নাকি শিবের দুত। আবার কেউ বলেন সোজা স্বর্গ থেকে নাকি মরতে আসে দুর্গার কাছে শিবের খবর দিতে। সে আসলে নীলকন্ঠ। নীল রঙের এক পাখি ঘাড়ের দিকটা কালচে। দুর্গাপূজোয় বেড়ে যায় তার গুরুত্ব। বিভিন্ন বনেদি বাড়িতে প্রতিমা নিরঞ্জন করার আগে এই নীলকন্ঠ পাখি ওড়ানোর চলছিল।

এমনকি বর্তমানে শোভাবাজারের রাজবাড়ীতেও এখনো এই নীলকন্ঠ পাখি উড়ানোর চল রয়েছে। শিব ঠাকুরের আরেক নাম নীলকন্ঠ। পুরাণ অনুযায়ী সমুদ্র মন্থনের সময় এক বুক গরল পান করেছিলেন মহাদেব। নীল হয়ে ওঠে তার গলা আর তারপর থেকেই তার নাম হয় নীলকন্ঠ।

আর এই নীলকন্ঠ পাখি নাকি মহাদেবের দূত। তার কথাতেই এই পৃথিবীতে আসেন নীলকন্ঠ। হিন্দু শাস্ত্র মতে এই পাখি নাকি সব সময় দেখা যায় না আর পাখি দেখা অত্যন্ত শুভ। দশমীর দিন মায়ের ঘরে ফেরার বার্তা মহাদেবকে গিয়ে দিয়ে আসে এই নীলকন্ঠ পাখি। এমনকি শ্রী রামচন্দ্র রাবণ বধের আগেও নাকি এই পাখির দেখা পেয়েছিলেন রামায়ণ অনুযায়ী তেমনটাই বলেন পৌরাণিকরা।

যেকোনো শুভ কাজের আগে এই নীলকণ্ঠ পাখি দেখা পাওয়া সৌভাগ্যের ব্যাপার। ভারতীয় উপমহাদেশ এবং মধ্যপ্রাচ্যে এই পাখি দেখতে পাওয়া যায়। ২৭ সেন্টিমিটার এই পাখির দেহ, এদের ডানায় এক ধরনের নীল আলো দেখতে পাওয়া যায়। তবে ভারতে যে নীলকন্ঠ পাখি দেখা যায় তার গলার কাছের অংশ বাদামী। তবে বিসর্জনের সময় এই পাখি ওড়ানোর প্রথা বন্ধ হয়ে যায়।

WhatsApp Group Join Now

তার কারণ এই পাখি এখন বিলুপ্ত পর্যায়ের অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। একসময় এই পাখি শিকারিদের ভারী প্রিয় ছিল। এই পাখি মেরে মাংস খাওয়ার রীতি ছিল। তবে বনদপ্তরের চোখ রাঙানীতে বর্তমানে সেই প্রথা বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে। শোভাবাজার রাজবাড়িতে নীলকন্ঠ পাখি কৃত্রিমভাবে তৈরি করে ওড়ানো হয় আকাশে।

আরও পড়ুন: Aishwarya-Salman: ঘনিষ্ঠতা বাড়ছে সলমন-ঐশ্বর্যর! গোপন তথ্য ফাঁস বাড়ির পরিচারিকার

About Author
Adhrit Roy

বিগত প্রায় চার বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়ায় কাজের সঙ্গে যুক্ত। যেকোনো ধরণের জেনারেল নিউজ লেখায় পারদর্শী।