Sri Jagannath Special Khaja: আষাঢ় মাস মানেই জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার উৎসব। আর রথ মানেই সবার প্রথমে মাথায় আসে নয় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের কথা নয়তো মাহেশের রথের কথা। পুরীর রথ পৃথিবীর অন্যতম সেরা প্রতিষ্ঠান। আর পুরী মানেই সেখানকার বিখ্যাত মিষ্টি খাজা। স্বয়ং জগন্নাথ দেবের ভোগ ও এই খাজা ছাড়া অসম্পূর্ণ। কিন্তু জানেন কি এই খাজার কোথা থেকে উৎপত্তি হয়েছে? কিভাবেই বা তৈরি হয় এই খাজা? চলুন আজ খাজার সম্পর্কে নানান ইতিহাস আপনাদের সামনে তুলে ধরবো।
পুরী ভ্রমণ যেন এই খাজা ছাড়া অসম্পূর্ণ। অনেককে তো আবার এই খাজার টানেই বারবার ছুটে যান জগন্নাথ দেবের জন্মস্থানে। পুরীর বিভিন্ন জায়গায় এই খাজা পাওয়া যায়। সারা শহরে এই খাজার বিভিন্ন দোকান রয়েছে। জগন্নাথের ভোগ এই খাজা ছাড়া এক্কেবারে অসম্পূর্ণ। সব জায়গাতেই খাজার স্বাদ প্রায় একই রকম হয়ে থাকে, আকারের পার্থক্য হতে পারে। তবে সব জায়গাতেই নয় ঘিয়ে নয় তেলে ভাজা হয়।
যদিও ওড়িশা তে খাজার থেকেও সুস্বাদু মিষ্টি রয়েছে একাধিক। ক্ষীরমোহন, রসমালঞ্চ, ছানাপোড়া, ছানার মুড়কি আরও কত কি। কিন্তু এই খাজার জনপ্রিয়তা বাকিদের থেকে একটু বেশি। প্রতিদিন পুরীতে হাজার হাজার খাজা বানানো হচ্ছে আবার বিক্রিও হয়ে যাচ্ছে। এই খাজার পিছনে একটি ঐতিহাসিক গল্প রয়েছে। চলুন সেটা জেনে নেওয়া যাক।
শোনা যায়, মৌর্য যুগে এই মিষ্টি খাওয়ার চল ছিল। সেই হিসেবে এর জন্ম যে বেশ প্রাচীন তা বলতেই হয়। আবার কেউ কেউ বলেন, এই মিষ্টির উল্লেখ বেদেও রয়েছে। বেদে যে পদ্ধতিতে খাজা তৈরি হয় একেবারে সেই রেসিপি মেনে তৈরি হওয়া মিষ্টির উল্লেখ রয়েছে। চিনা পর্যটক হিউয়েন সাঙ-এর লেখাতেও এই মিষ্টির উল্লেখ মেলে। তিনি অবশ্য খাজার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের জনপ্রিয় মিষ্টি বাকলাভার তুলনা করেছিলেন।
ময়দা লুচির মতো বেলে তা ভাঁজ করে ফের বেলা হয়, এইভাবে বেশ কয়েকবার ভাঁজ করে ভাজা। তারপর তেল বা ঘিয়ে ভাজা হয়ে থাকে। তারপর রসে ডুবিয়ে নিলেই মিষ্টি তৈরি। জগন্নাথের ভোগেও একই পদ্ধতি মেনে তৈরি হয় খাজা। দীর্ঘদিন এই খাজা মজুত রাখা যায়, নষ্ট হয় না। তাইতো পর্যটকরা পুরী ঘুরতে এসে বেশ অনেকটা পরিমাণে খাজা নিয়ে যান বাড়িতে। বর্তমানে ওড়িশার খাজা জিআই ট্যাগও পেয়েছে। যার ফলে কিছু কিছু দোকানের খাজা (Sri Jagannath Special Khaja) গোটা ভারতে ডেলিভারি করা হয়।