লেটেস্ট খবরবিনোদনভাইরাললাইফ স্টাইলরেসিপি

NIL ITR Filing: সুখবর! এবার কম ইনকাম হলেও ট্যাক্স ফাইল করলে পাবেন ৫ টি বিশেষ সুবিধা, জেনে নিন বিস্তারিত

Published on:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

NIL ITR Filing: আপনারা নিশ্চয়ই অনেকেই জানেন বর্তমানে ডিটাইজেশনের যুগে বাড়িতে বসেই আয়কর রিটার্ন দাখিল করা যায়। আর আপনাদের মধ্যে যাদের ইনকাম কম তারাও আজকাল NIL ITR Filing বা শূন্য আয়কর রিটার্ন ফাইলিং করে থাকেন। অর্থাৎ আপনার আয় যদি করযোগ্য না ও হয়, তারপরো যদি আয়কর রিটার্ন ফাইল করেন সেক্ষেত্রে ও বিভিন্ন সুবিধা পেতে পারেন আপনারা।

ভারতীয় আয়কর আইন অনুযায়ী, বর্তমানে যাদের আয় ৭ লক্ষ টাকার বেশি তাদের জন্য আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু যাদের আয় ৭ লাখের কম তারা কি আয়কর ফাইল করতে পারেন না? এই সম্পর্কে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন একজন ব্যক্তির আয় কর যোগ্য না হলেও তিনি চাইলে আয়কর ফাইল করতে পারেন এবং নিতে পারেন বিশেষ পাঁচটি সুবিধা আয়করের। এজন্য NIL ITR পদ্ধতিতে কর জমা করতে হবে সেই ব্যক্তিকে। কিভাবে তা করবেন? আর এতে কি কি সুবিধা পাওয়া যাবে তা বিস্তারিত জানানো হয়েছে আজকের প্রতিবেদনে।

১. সহজে লোন পাওয়ার সুযোগ:

বর্তমান সময়ে অনেকেই বাড়ি ঘর বানানোর জন্য অথবা কোন বড় অংকের কাজের জন্য লোন নিয়ে থাকেন বিভিন্ন ব্যাংক এবং ঋণ প্রদানকারী সংস্থার পক্ষ থেকে। লোনের আবেদন করার সময়, ঋণ প্রদানকারী সংস্থাগুলি প্রায়ই গ্রাহকের আয়ের প্রমাণ চায়। চাকরি না করলেও, NIL ITR Filing দাখিল করার প্রমাণপত্র দেখিয়ে সহজেই লোনের আবেদন গ্রহণযোগ্য হতে পারে। তাছাড়া, অতীত তিন বছরের আয়কর রিটার্নের কপি জমা দিলে লোন পাওয়া আরও সহজ হয়।

২. বড় অংকের বীমা পলিসি:

যদি কখনো কোনো ব্যক্তি ৫০ লাখ টাকা বা তার বেশি টাকার বীমা পলিসি কেনার কথা ভাবেন তবে সংশ্লিষ্ট বীমা সংস্থা সাধারণত ITR রসিদ চাইবে। ITR ফাইলের কপি দেখে সংস্থা সিদ্ধান্ত নেবে যে ওই ব্যক্তি বড় অংকের বীমা পলিসি নিতে সক্ষম কি না। সুতরাং, একটি Nil ITR ফাইল করা থাকলে এই কাজ খুব সহজেই হয়ে যাবে।

WhatsApp Group Join Now
৩. ঠিকানার প্রমাণ:

বর্তমান সময় অনলাইনের যুগে দাঁড়িয়ে অনেক মানুষ অনলাইনে আয়কর রিটার্ন জমা করে থাকেন। যদি হাতে হাতে জমা দেওয়া হয়, তবে আয়কর রিটার্নের কপি গ্রাহকের নিবন্ধিত ঠিকানায় পাঠানো হয়। এই কপি একটি ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে। তাই, Nil ITR ফাইল করলে আপনার ঠিকানার প্রমাণ নিশ্চিত করা যায়।

৪. সহজে ভিসা পাওয়া:

যখন আপনি বিদেশে যাওয়ার জন্য যাত্রা করেন এবং সেখানে ভিসার জন্য আবেদন করেন তখন ভিসা প্রদানকারী কর্তৃপক্ষ প্রার্থীর আর্থিক অবস্থা যাচাই করে থাকে। Nil ITR ফাইল করা থাকলে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে কাজ করে। যদি আবেদনকারী উপার্জনশীল না হন, তাহলে তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যদের ITR কপি দেখানো যেতে পারে, যা ভিসা পাওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করতে সহায়ক হতে পারে।

আরও পড়ুন: BSNL: এবারে ২০০ টাকারও কমে রিচার্জ প্ল্যান নিয়ে হাজির হলো BSNL

৫. নতুন ব্যবসা শুরুর সুবিধা:

নতুন ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন? সেক্ষেত্রে সরকারি প্রকল্প বা ডিল পেতে ITR ফাইলের কপি প্রয়োজন হয়। সাধারণত, সরকারি প্রকল্পের জন্য ৫ বছরের ITR ফাইল জমা দিতে হয়। এটি ব্যবসায়িক চুক্তি লাভের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি হিসেবে গণ্য হয়।

কীভাবে শূন্য আয়কর রিটার্ন ফাইল করবেন?

যদি অনলাইনের মাধ্যমে শূন্য এক রিটার্ন ফাইল কোথায় চান তাহলে আয়কর দপ্তরের ওয়েবসাইট এ গিয়ে অনলাইনে ITR ফাইল করা যায়।

আর যদি অফলাইনের মাধ্যমে ফাইল করতে চান তবে ITR ফর্ম ডাউনলোড করে এবং তা পূরণ করে নিয়ে সরাসরি আয়কর দপ্তরের অফিসে গিয়েও জমা দেওয়া যায়।

আরও পড়ুন: Fixed Deposit: এবার থেকে ফিক্সড ডিপোজিটে পাওয়া যাবে ৭.৯% সুদ, জেনে নিন বিস্তারিত

About Author
Ankana Chowdhury

নমস্কার আমার নাম অঙ্কনা চৌধুরী। আমি বিগত দু'বছর ধরে ডিজিটাল মিডিয়াতে কাজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি। এই দু বছরে আমি বিভিন্ন ধরনের বিষয়ের উপরে জেনারেল নিউজ লিখেছি। এবং বর্তমানে আমি অনেকটাই কাজ শিখে এই জেনারেল নিউজ লেখায় নিজেকে সাবলীল করে তুলেছি। এই কয়েক বছরে আমার অভিজ্ঞতা ভীষণই ভালো।