Bhoot Choturdoshi: ভূত চতুর্দশী (Bhoot Choturdoshi) বলতেই আমরা বুঝি মর্ত্যে প্রেতদের আখড়া৷ এই দিন চোদ্দ পুরুষের আত্মারা নেমে আসেন পৃথিবীর মাটিতে এই কথা প্রচলিত ও আছে ৷ আর তাদের এই অতৃপ্ত আত্মাকে তৃপ্ত করতে চোদ্দশাক ভাজা খেতে হয় এদিন৷ না হলে অসন্তুষ্ট হন পূর্বপুরুষরা৷ ঘাড়ে চেপে বসতে পারে ভূত, জীবনে নেমে আসতে পারে নানা সমস্যা৷কী কী শাক থাকে এই চোদ্দ শাকে চলুন আজ একটু জেনে নেওয়া যাক।
আশ্বিন মাসের চতুর্দশী তিথিতে (Bhoot Choturdoshi) এই দিনটিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে অশুভ শক্তিকে নাশ করার রীতি প্রচলিত রয়েছে। শস্য শ্যামলা বাংলায় সন্ধ্যেয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে কীটপতঙ্গ দূর করা ও মরশুম বদলের রোগ থেকে শরীরকে রক্ষা করাও এই রীতি পালনের মধ্য দিয়ে পালিত হয়।
চৌদ্দ শাক বলতে আমরা যে শাক গুলো বুঝি সেগুলো হলো : পালং শাক, সজনে শাক, লাল শাক, মূলো শাক, মেথি শাক, পাট শাক, গিমে শাক, পুঁই শাক, কুমড়ো শাক, কলমি, সরষে, নোটে শাক, হিঞ্চে শাক,শুষনি শাক, এই চোদ্দো রকম শাক এর মিশ্রণ এ তৈরি হয় চোদ্দো শাক।
চলুন এইবার জেনে নেওয়া যাক চোদ্দো শাক এর পুষ্টি গুন গুলো।কলমি শাক শরীরে জলের পরিমাণ ধরে রাখে, পুঁই শাকে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক থাকে। গিমে শাক, জন্ডিস ও লিভারের অসুখের ভালো।পালং শাক সাহায্য করে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে। সরষে শাক শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়।মূলো শাক ভালো করে সেদ্ধ করে খাওয়ার রীতি প্রচলিত, এতে বাতের ব্যথা সারে। সজনে শাকেও হাতে পায়ের ব্যথা সারে। মুখে রুচি ফেরাতে বেতো শাক ভালো। অ্যানিমিয়া নিরাময়ে হিঞ্চে শাক সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: Bengali Serial: শীঘ্রই বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন ‘ফুলকি’ অভিনেত্রী, পরিকল্পনা খোলসা করলেন অভিনেত্রী