WBSEDCL: বাংলায় বর্ষা প্রকাশ করেছে অনেক দিনই হয়েছে, কিন্তু সেরকম ভাবে বৃষ্টি এখনো পর্যন্ত দেখা মেলেনি দক্ষিণবঙ্গে। যার ফলে বাতাসে আর্দ্রতাজনিত অসস্তি থেকেই যাচ্ছে। তার সঙ্গে হচ্ছে ঘাম, সবমিলিয়ে অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি হয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আর সেই কারণেই পাখা বা এসি কোনটাই এখন রেহাই পায়নি, যার ফলে ইলেকট্রিক বিল বেড়েই চলেছে। আর তাই এবারে বিদ্যুৎ বিল নিয়ে বড় রকমের সিদ্ধান্ত নেওয়া হল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে।
বিদ্যুৎ বিল নিয়ে সরকারের সিদ্ধান্ত:
এবার গরমে অত্যাধিক তাপমাত্রার কারণে জ্বলে পুড়ে গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সহ অন্যান্য রাজ্য গুলিও। যার ফলে ফ্যান, এসি কোনটাই বিরাম পায়নি এতটুকু। অনবরত পাখা এসি চলার ফলে বিদ্যুৎ বিল সেভাবেই বেড়েছে। ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রায় এসি ছেড়ে ছাড়া থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছিল। বর্ষা আসলেও গরম না কমায় এসি, ফ্যান অনবরত চালানো হচ্ছে। যার ফলে অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আসছে।
আর অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিল আশায় কপালে হাত পড়েছে মধ্যবিত্তের, পকেটে টান পড়েছে বিদ্যুৎ বিল দিতে গিয়ে। রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন পর্ষদ ওরফে WBSEDCL গ্রাহকদের বিদ্যুতের গড় বিল পাঠায়। আর শেষে ৩ মাসের বিল পাঠানো হয় একসঙ্গে। তবে এই পদ্ধতি অবলম্বন করতে গিয়ে অনেকটাই চাপ পড়ে মধ্যবিত্তের পকেটে। সব দিক মাথায় রেখেই এবার এক বড় সিদ্ধান্ত নিল WBSEDCL।
নতুন নিয়ম অনুসারে এবার থেকে প্রতি মাসে বিদ্যুতের বিল আসবে WBSEDCL গ্রাহকদের। মিটার থেকেই হিসাব করে প্রতি মাসে বিদ্যুৎ বিল কত আসছে সেই হিসাব রাখা যাবে। অন্যদিকে রাজ্যকে না জানিয়ে কলকাতা এবং সংলগ্ন অঞ্চলে বিদ্যুতের মাশুল বাড়ানো নিয়ে CESC এর বিরুদ্ধে ক্ষেপে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করছেন এই বিষয়ে রাজ্যকে কিছুই জানানো হয়নি।
আরও পড়ুন: Today’s Gold Rate: হুড়মুড়িয়ে পড়ল সোনার দাম! জানুন আজকের কলকাতার বাজারমূল্য