Jagadhatri: দুর্গার পরেই আসন জগদ্ধাত্রী। শোনা যায় রাজা কৃষ্ণচন্দ্র কারাবাস থেকে মুক্তি পাওয়ার পর দেখেছিলেন দেবী দুর্গার বিসর্জন। তাতে তিনি বেজায় ব্যথিত হওয়ায় রাতের বেলা পেয়েছিলেন স্বপ্নাদেশ। দুর্গা এসে তাকে বলছেন হেমন্তের আগে তার পূজো করতে। তারপর থেকেই নাকি শুরু হয়ে যায় বাংলায় জগদ্ধাত্রী পুজো। ধীরে ধীরে তা কৃষ্ণনগর থেকে ছড়িয়ে পড়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত। বর্তমানে কলকাতা সহ হুগলির চন্দননগরে হয় এই জগদ্ধাত্রী পুজো। কিন্তু কি কি নিয়ম মেনে পুজিত হন জগদ্ধাত্রী। তিনি দুর্গার এক রূপ হলেও কেন তিনি চতুর্ভুজা?
সিংহের উপরে আসিন থাকেন জগদ্ধাত্রী। আবার তার সিংহের নিচে থাকে একটি হস্তির মুন্ড। চন্দননগর সহ আরো বিভিন্ন প্রান্তে অতি জাঁকজমক সহকারে দেবী জগদ্ধাত্রী আরাধনা করা হয়। পাঁচ দিন ধরে চলে দুর্গাপুজোর মতন এই জগদ্ধাত্রী পুজো। এই পুজো ঘিরে যেন আলোড়ন সৃষ্টি হয়। দুর্গা এবং শ্যামা পূজার নতুন এই জগদ্ধাত্রী পুজো ঘিরে উন্মাদনা সৃষ্টি হয় বঙ্গবাসীর মনে। একেও বলা হয় এক প্রকার অকালবোধন।
রাজাকে দেওয়া দেবীর আদেশ অনুযায়ী কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষ গতে পুজো করা হয় দেবীর। এবছর ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো!৮ নভেম্বর সপ্তমী, ৯ নভেম্বর অষ্টমী, ১০ নভেম্বর নবমী,১১ নভেম্বর দশমী! সোমবার প্রথা মত জগদ্ধাত্রী দেবীর বিসর্জন সংঘটিত হবে। পুরানে বলা হয় জগদ্ধাত্রী সৃষ্টির কথা। একসময় মহিষাসুর বধের পর হঠাৎ করেই অহংকারী হয়ে ওঠেন দেবতারা। এদিকে দেবী দুর্গা একাই নারী শক্তি হিসেবে ধ্বংস করেছিলেন মহিষাসুরকে। কিন্তু তার মান মর্যাদা কেউ রাখেননি।
তাই তার কথা ভেবেই ব্রহ্মা এক নারীর সৃষ্টি করেন। দেবতাদের অহংকার চূর্ণ-বিচূর্ণ করতে এই গোটা জগতকে ধরে রাখার জন্য যে নারীর সৃষ্টি করেন ব্রহ্মা, তার নাম জগদ্ধাত্রী। তিনি আসলে দেবী দুর্গার একটি রূপ। এদিকে দেবতারা তাকে মানবেন কেন? পরীক্ষা দিতে হবে তাকে! জগদ্ধাত্রী তার হাতে থাকা একটি তৃণ খন্ড ছুড়ে মারেন দেবতার দিকে! ইন্দ্র অগ্নি বায়ু এবং বরুণ কেউই পারেননি তাকে আটকাতে। ব্রহ্মা প্রশ্ন করেন একটি তৃণখণ্ড আটকাতে পারো না এদিকে মহিষাসুর বধ করবে? তারপর থেকেই স্বর্গ মর্ত্য এবং পাতাল জুড়ে জগদ্ধাত্রী রূপে দেবী আসীন।
আরও পড়ুন: মাত্র ৪৫০ টাকা দামে LPG সিলিন্ডার দেবে সরকার! জেনে নিন কিভাবে আবেদন করবেন