Kamakhya Express Accident: ওড়িশার কটকের চৌদ্বার এলাকায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার কবলে পড়ল বেঙ্গালুরু-কামাখ্যা সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস (12551)। রেল সূত্রের খবর অনুযায়ী, রবিবার বেলা ১১:৫৪ মিনিট নাগাদ ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময় ট্রেনের গতি কম থাকায় বড় ধরনের বিপর্যয় এড়ানো সম্ভব হয়েছে।
কীভাবে ঘটল দুর্ঘটনা?
প্রাথমিকভাবে জানা গেছে, লাইনের ত্রুটির কারণে প্রথমে একটি বগি লাইনচ্যুত হয় (Kamakhya Express), যার প্রভাবে পরপর আরও ১০টি বগি লাইন থেকে ছিটকে পড়ে। যদিও এখনও পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে এক যাত্রী সামান্য আহত হয়েছেন। রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক অশোক মিশ্র জানান, “দুর্ঘটনার সঠিক কারণ এখনো স্পষ্ট নয়, তবে পরিষেবা স্বাভাবিক করার কাজ দ্রুতগতিতে চলছে।”
12551 SMVT Bengaluru – Kamakhya AC Express derailed at Manguli near Cuttack/KUR DIV/ECoR
No casualty or injuries yet reported.
Officials confirmation from @EastCoastRail will be updated soon#TrainDerailment pic.twitter.com/xLEHyHZUAA
— ECoR Railfans (@ecor_railfans) March 30, 2025
train number 12551 .KAMAKHYA TO SMVT EXPRESS दुर्घटनाग्रस्त हुई है कृपया मदद पहुंचाई जाए। नजदीकी रेलवे स्टेशन MANGULI CHOUDWAR.P.H pic.twitter.com/3PZEuw3i18
— Pardeep Majra (@PardeepMajra008) March 30, 2025
যাত্রীদের উদ্ধারকাজ ও বিকল্প ব্যবস্থা
দুর্ঘটনার খবর পাওয়ার পরপরই রেল আধিকারিক এবং উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। যাত্রীদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য বিকল্প ব্যবস্থার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, দুর্ঘটনাগ্রস্ত রুটে ট্রেন চলাচল ব্যাহত হওয়ায় অন্য ট্রেনের সূচিতে পরিবর্তন আসতে পারে।
২০১৯ সালের করমণ্ডল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার স্মৃতি
ওড়িশার বালেশ্বরে ২০২৩ সালের ২ জুন করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনার কথা এখনো দেশবাসীর মনে দগদগে। মালগাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে ২১টি বগি লাইনচ্যুত হয়েছিল, যার ফলে ২৯৬ জন প্রাণ হারান এবং হাজারেরও বেশি যাত্রী আহত হন। কামাখ্যা এক্সপ্রেসের এই সাম্প্রতিক দুর্ঘটনা সেই মর্মান্তিক স্মৃতিকে আবারও উস্কে দিয়েছে।
রেলের পরবর্তী পদক্ষেপ
রেল দফতর জানিয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। পাশাপাশি, রেল সুরক্ষার মানোন্নয়নে নতুন প্রযুক্তি সংযোজনের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হবে, যাতে ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।
সতর্কতা ও যাত্রী সুরক্ষা
এ ধরনের দুর্ঘটনা প্রতিরোধে রেল যাত্রীদের সুরক্ষায় আরও আধুনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। বিশেষত, রেললাইন ও সিগন্যালিং ব্যবস্থার নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ এবং উন্নত মনিটরিং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানো প্রয়োজন। ওড়িশার কটকে কামাখ্যা এক্সপ্রেসের এই দুর্ঘটনা বড়সড় ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেলেও, এটি রেল সুরক্ষা নিয়ে নতুন করে ভাবনার প্রয়োজনীয়তা সামনে এনেছে। যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে রেলের তরফে দ্রুত ও কার্যকরী পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত জরুরি।
আরও পড়ুন: Google Search: ভুলেও গুগলে সার্চ করবেন না এই ৪টি জিনিস, হতে পারে জেল