Lakshmir Bhandar: রাজ্যের মহিলাদের আর্থিক উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু করেছিলেন লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প। বর্তমানে এই প্রকল্পের মাধ্যমে সাধারণ মহিলারা ১০০০ টাকা এবং তফসিলি জাতি ও উপজাতির মহিলারা ১২০০ টাকা করে পেয়ে থাকেন। তবে এই প্রকল্প নিয়ে নানা সময় বিরোধী দলগুলির রোষের মুখে পড়তে হয়েছে তৃণমূল সরকারকে। নির্বাচনীর সময় এই প্রকল্পকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহারও করেছেন বিরোধী দল বিজেপি। আর এইবার লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পের টাকা বাড়ানোর জন্য আবেদন জারি করেছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ।
লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্পটি শুরু হওয়ার সময় রাজ্যের সাধারণ মহিলাদের ৫০০ এবং অনগ্রসর শ্রেণীর মহিলাদের ১০০০ টাকা করে দেওয়া হতো সরকারের তরফে। তবে লোকসভা ভোটের পূর্বে সাধারণ মহিলাদের ১০০০ টাকা এবং অনগ্রসর শ্রেণীর মহিলাদের ১২০০ টাকা দেওয়া হচ্ছে সরকারের তরফে। এবার এই টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করার আবেদন জানিয়েছেন পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো।
পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদের দাবি, ‘দেশের মধ্যে বংলায় মুদ্রাস্ফিতী সবচেয়ে বেশি। এখানে জিনিসপত্রের দাম সবচেয়ে বেশি। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর দাম আকাশছোঁয়া। যা সামলাতে মাসিক ১০০০–১২০০ টাকা যথেষ্ট নয়।’ তাই এবার এই বিষয়ে দৃষ্টিপাত করার জন্য তিনি চিঠি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে চিঠির প্রস্তাব প্রকাশ্যে আসার পরই তা চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছে। কারণ পূর্বে প্রচার, সমাবেশ থেকে বারংবার বিরোধী দল বিজেপি লক্ষ্মীর ভান্ডারের সমালোচনা করেছে।
এছাড়াও পুরুলিয়ার বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর কথায়, ‘এইসব টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করা হলে প্রত্যেক মাসে মহিলাদের ২ হাজার টাকা দেওয়া কোনো কঠিন হবে না। অনুদান বৃদ্ধি হলে লক্ষ্মীর ভান্ডারের প্রকৃত উদ্দেশ্য সাধন হবে। তা না হলে এটা শুধু ভোট কেনার হাতিয়ার হয়েই থেকে যাবে।’ আর এই প্রসঙ্গকে সামনে রেখেই নাম না নিয়ে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে ৫০ কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনাটিকেও তিনি তুলে ধরেছেন।
তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ এর পাল্টা উত্তরে জানান, “ওরা আগে বলুক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করার আগে ওরা কেন কোথাও কিছু করেনি? নকল করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে, তার আবার বড় বড় কথা!” এছাড়াও তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে টাকার জন্য চিঠি না দিয়ে আগে প্রধানমন্ত্রী আর কেন্দ্রের অর্থমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া উচিত। বাংলার বকেয়া টাকাটা আগে কেন্দ্রীয় সরকার দিক, তারপর বিজেপি নেতা জ্ঞান দেবে। কোন লজ্জায় মখ্যমন্ত্রীকে বলছে আপনি টাকা দিন।”