Hilsa Fish: মাছ বলতেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে, ঝকঝকে ত্বকের ইলিশের কথা। শীত গ্রীষ্ম হোক কিংবা বর্ষা চাহিদা থাকে সর্বদা । কিন্তু বর্ষাকাল পেরিয়ে গেলে ইলিশ উধাও হয়ে যায় বাজার থেকে।
কি করে চিনবেন ইলিশ: তবুও দুর্গা পুজো কিংবা জামাইষষ্ঠীর সময় কতিপয় ইলিশ দেখা যায় বাজারে। সেই সময় ইলিশের যা দাম হয় তা কিনতে গেলে পকেট ফাঁকা হওয়ার জোগার। বাজারে এখন দেদার বিকোচ্ছে ইলিশ। কিন্তু সত্যিই কি মাছের রাজা ইলিশ বর্ষা পড়ার আগেই বাজার জুড়ে ছেয়ে গিয়েছে। একেবারেই নয় বরং বাজারে ইলিশের নামে যা কিনছেন সেটা কিন্তু ইলিশ নয়। সেটা হলো চন্দনা মাছ।
দেখতে পুরোপুরি ইলিশের মতন দামও ইলিশের মতন। একেবারে সাদা ধবধবে চন্দনের মতন গায়ের রং তার। সূর্যের আলো পড়লে সোনার মতন চকচক করে ওঠে। অতি বড় মাছ প্রিয় বাঙালিও তাকে ইলিশ বলে ভুল করবে। আর সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে যাচ্ছেন মাছ বিক্রেতা এবং মৎস্যজীবীরা।
এই চন্দনা মাছে বাজার গিয়েছে ছেয়ে। হুবহু ইলিশের মতন দেখতে যে শুধু তাই নয় তার গন্ধ একেবারে ইলিশের মতন। তার চোখ থেকে শরীরের গঠন সবকিছুই ইলিশের কপি। কিন্তু কোথা থেকে এই মাছ আসছে। আসলে ইলিশ মাছ হলো মিষ্টি জলের ডিম পাড়তে সে চলে যায় মোহনার ধারে।।
ইলিশ নাকি চন্দনা:
আর তাই বর্ষাকালে ইলিশ ধরা পড়ে মৎস্যজীবীদের জালে। কিন্তু জালে যারা ধরা পড়ে তারা যে আসলে ইলিশ নয়। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের ডায়মন্ড হারবার এবং কাকদ্বীপ উপকূলে রমরমা বাণিজ্য করছে এই চন্দনা মাছ। মাছের দাম বিকোচ্ছে আড়াই থেকে ৩০০০ টাকা। আবার ছোট মাছ রয়েছে দেড় থেকে ২০০০ টাকা। ঠিকই শুনেছেন ইলিশের থেকে কম দামে নয় বরং একই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিক্রি হচ্ছে এই চন্দনা মাছ।
ইলিশের মতন তার চেহারা। কিন্তু কিভাবে এই চন্দনা এবং ইলিশকে আলাদা করবেন। এর জন্য রয়েছে একটা উপায়। ইলিশের চকচকে দেহের পিছনে রয়েছে কালো রংয়ের আস্তরণ। চন্দনা মাছের গোটা শরীর চন্দনে চর্চিত। তার সামনে কিংবা পিছনে কোন কাল আস্তরণ নেই।
একেবারে মসৃণ ত্বকের অধিকারী এই চন্দনা। কথায় বলে চকচক করলেই সোনা হয় না। তাই অতি চকচকে চন্দনা মাছ থেকে যদি সাবধান হতে পারেন তবে নির্দ্বিধায় বাড়িতে অতিথি হিসেবে নিয়ে আসতে পারেন ইলিশ মাছকে।
আরও পড়ুন: Petrol Diesel Price: বাজেট নির্ধারণের দিনেই কলকাতা, দিল্লি সহ বিভিন্ন শহরে দাম কমলো পেট্রোল ডিজেলের