Government of West Bengal: ভারতের পিছিয়ে থাকা নাগরিকদের জন্য রেশন পরিষেবা অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনিস। তবে এবার সেখানেই উঠছে প্রশ্ন। প্রধানত কৃষকদের সাথে চুক্তি করে ধান কিনে তা চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন চালকলের থেকে ভাঙ্গানো হতো। এরপর এই চাল রেশন দোকান থেকে সরাসরি দেওয়া হতো উপভোক্তাদের। তবে এবার এখনও কোনো চুক্তি করা সম্ভব হয়নি চালকল মালিকদের সাথে। তাদের তরফে উঠছে হাজারো অভিযোগ।
জানা যাচ্ছে বেঙ্গলি রাইস মিল এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুল মালেক জানিয়েছেন এতদিন তারা যে দাবি সরকারের কাছে রেখেছেন তার সবকটাই ন্যায্য এবং যুক্তিযুক্ত। গতবার ২৫ লক্ষ টাকার ব্যাঙ্ক গ্যারান্টিতে ১ কোটি টাকার ধান দিয়েছিল খাদ্য দপ্তর। তবে এবার হঠাৎ করেই ব্যাংক গ্যারান্টি অর্থের পরিমাণ বাড়িয়ে ৪০ লক্ষ করে দেওয়া হয়েছে। তবে যদিও তা কমিয়ে ৩৫ লক্ষ করা হয় তবুও এই অঙ্কটা নেহাত কম নয়। এরপর আরো একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বলা হয় ১৭ ই সেপ্টেম্বরের মধ্যে আবেদন করলে ৩৫ লক্ষ টাকায় কাজ হবে অন্যথায় ৪০ লক্ষ টাকা দিতে হবে।
আরো যোগ করে জানান ধান ভাঙ্গানোর ক্ষেত্রে যে মূল্য দেওয়া হয় তা ২০১৬ সাল থেকে আর বাড়ানো হয়নি। যেখানে এক কুইন্টাল চালে খরচ পড়ে ১১০ টাকা প্রায় সেখানে সরকার দেয় মাত্র ৩০ টাকা। তাই সেই টাকার অঙ্কো বাড়িয়ে ৬০ টাকা না দিলে কোনো চুক্তিতে রাজি নন তাঁরা।
এদিন এইসব অভিযোগের ভিত্তিতে খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ জানান মিলিংচার্জ বাড়ানোর প্রস্তাবটি ইতিমধ্যেই পাঠানো হয়েছে অর্থ দপ্তরে। সাথে ব্যাংক গ্যারান্টির পরিমাণ ও কমিয়ে ৩০ লক্ষ করে দেওয়া হয়েছে। বাকি সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে মিটে যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
আরও পড়ুন: Weather Update: আসতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ডানা! ১৩৫ কিলোমিটার বেগে বইবে ঝড়! ভাসবে দক্ষিণবঙ্গ?