Government Employee: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি করে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। অন্যদিকে এখনও পর্যন্ত রাজ্য সরকার ও রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ বৃদ্ধি সংক্রান্ত মামলা বিচারাধীন। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের ডিএ- এর পরিমাণ হয়েছে ৫৩ শতাংশ। আর অন্যদিকে ডিএ বৃদ্ধি তো দূর চাকরি কাঠামোতে নানান পরিবর্তন আনছে রাজ্য সরকার।কিছুদিন আগে কর্মীদের হাজিরায় কড়াকড়ি করতে সরকারি দফতরে চালু করা হয়েছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। আর এবার সরকারি কর্মীদের দিতে হবে সততার শংসাপত্র।
এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল ২০০০ সালে। জানানো হয়েছিল সরকারি কর্মীদের পদোন্নতির ক্ষেত্রে সততার সার্টিফিকেট জরুরি। IAS এবং WBCS অফিসারদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা হলেও অন্যান্য স্তরের অফিসারদের ক্ষেত্রে এতদিন সঠিকভাবে মানা হচ্ছেনা। এমনটাই অভিযোগ উঠেছিল। এ বার এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। নবান্ন জানিয়ে দিয়েছে, রাজ্যের সব স্তরের সরকারি আধিকারিকদের পদোন্নতির জন্যই সততার সার্টিফিকেট লাগবে। পাশাপাশি এই সততার শংসাপত্রের মধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্মীর শৃঙ্খলা পরায়ণের বিষয়টিও থাকতে হবে।
এমতাবস্থায় স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠেছে সরকারী কর্মীদের সততার বিচার করা হবে কিভাবে? এবার সেই বিষয়ে জানিয়ে দিয়েছে নবান্ন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসা, দায়িত্বের সঙ্গে নিজের কাজ করা, সরকারি কাজের বিনিময়ে কোনও ধরনের সুবিধা ভোগ না করা ইত্যাদি। এই সকল বিষয়ের নিরিখে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে Integrity Clearance Certificate/ Vigilance Clearance দেবেন ঊর্ধ্বতন কর্তারা। এবার থেকে বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আর এই সমস্ত ধাপে সফল হলে তবেই মিলবে সততার শংসাপত্র। সেই শংসাপত্র জমা দিলে তবেই পদোন্নতি হবে সরকারি কর্মীদের।
এই প্রসঙ্গে নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, “ বিভিন্ন সময় দেখা যায় অনেক আধিকারিক দুর্নীতি করেও পার পেয়ে যাচ্ছেন। এমনকি তাঁদের প্রোমোশনও হয়ে যাচ্ছে। তাই প্রোমোশনের ক্ষেত্রে পুরোনো নিয়ম কঠোর ভাবে কার্যকর করতে বলা হয়েছে। অফিসারদের পদোন্নতির জন্য সততার সার্টিফিকেট নেওয়ার বিষয়টি ওয়েস্ট বেঙ্গল সার্ভিস রুলসে উল্লেখ থাকলেও সেটা এতদিন বাধ্যতামূলক ছিল না। তবে এখন সেটি স্বীকৃতি পাওয়ায় অনেকটাই উপকৃত হতে চলেছে।”
