Post Office Scheme: বর্তমানে অধিকাংশ মানুষ সঞ্চয়ের ক্ষেত্রে ব্যাঙ্ক, মিউচুয়াল ফান্ড বা শেয়ার বাজারে লগ্নি করে থাকেন। কিন্তু এমন অনেক স্কিম রয়েছে যেখানে ঝুঁকিহীন বিনিয়োগে মোটা টাকা সুদ পাওয়া যায়। এমনই একটি স্কিম হলো পোস্ট অফিসের মাসিক আয় স্কিম স্কিম (Post Office MIS Scheme)।
এই স্কিমে বিনিয়োগে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ পেয়ে থাকেন গ্রাহকরা। যদি স্বামী-স্ত্রী মিলে যৌথ অ্যাকাউন্ট খুললে প্রতি মাসে ৯২৫০/- টাকা আয় করা যায়।
পোস্ট অফিসের মাসিক আয় স্কিম (Post Office MIS Scheme) সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য:
পোস্ট অফিসের MIS স্কিমটি (Post Office MIS Scheme) একটি ফিক্সড ডিপোজিট স্কিমের মতোই সুবিধা প্রদান করে থাকে গ্রাহকদের। যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ সুদ পাওয়া যায়। তবে এখানে মূল পার্থক্য হলো, সাধারণ ব্যাংকের মতো একবারে সুদের পরিবর্তে এখানে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে সুদ পেয়ে থাকেন গ্রাহকরা।
যদি এই স্কিমে ১৫ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করা হয়, তবে প্রতি মাসে সুদ মিলবে ৯২৫০/- টাকা। এই সুদ গ্রাহকরা সরাসরি নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে নিতে পারেন। ৫ বছর পূর্ণ হওয়ার পর বিনিয়োগকারী ১৫ লক্ষ টাকা ফেরত পাবেন অর্থাৎ গ্রাহকরা ৫ বছর ধরে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট আয় পাবেন, পাশাপাশি নিজের আসল বিনিয়োগও থাকবে সম্পূর্ণ সুরক্ষিত।
জানুন, পোস্ট অফিসের এই স্কিমটি কেন লাভজনক?
প্রথমত, এই স্কিমটি ভারত সরকারের তত্ত্বাবধানে পোস্ট অফিস দ্বারা পরিচালিত। তাই এই স্কিমে বিনিয়োগ সম্পূর্ণ নিরাপদ, জালিয়াতির কোনো সম্ভাবনা নেই। দ্বিতীয়ত, এই স্কিমে বিনিয়োগের পর প্রতি মাসে নিশ্চিত সুদ মিলবে।
কীভাবে কাজ করে পোস্ট অফিসের এই MIS স্কিম?
পোস্ট অফিসের MIS স্কিমটি মূলত একটি ফিক্সড ডিপোজিটের মত, যেখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা বিনিয়োগ করলে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট সুদ পাওয়া যায়। তবে এখানে মূল পার্থক্য হলো, সাধারণ ব্যাংকের মতো একবারে সুদের জায়গায় প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণে সুদ পাওয়া যায়।
এছাড়া দম্পতিরা এই স্কিমে যৌথ বিনিয়োগ করলে বেশি সুদ মিলবে। এছাড়া পাঁচ বছর পর পুরো বিনিয়োগের টাকা ফেরত পাওয়া যাবে। এছাড়া এই স্কিমে কর ছাড়ের সুবিধা পাওয়া যাবে।
জানুন, কীভাবে বিনিয়োগ করবেন?
পোস্ট অফিসের এই স্কিমে বিনিয়োগ করার জন্য নিকটবর্তী কোনো পোস্ট অফিসে গিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় ডকুমেন্ট:
আধার কার্ড বা প্যান কার্ড, ঠিকানার প্রমাণপত্র হিসেবে বিদ্যুৎ বিল বা রেশন কার্ড, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং ব্যাংকের ডিটেইলস।
উল্লেখ্য, যদি কোনো ব্যক্তি ঝুঁকিহীন বিনিয়োগে প্রতি মাসে নিশ্চিত আয় চান সেক্ষেত্রে পোস্ট অফিসের এই মাসিক আয় প্রকল্প সেরা বিকল্প হতে পারে। বিশেষ করে স্বামী-স্ত্রী এই স্কিমে যৌথ অ্যাকাউন্ট খুললে প্রতি মাসে ১০ হাজার টাকা আয় নিশ্চিত।