Free WiFi in School: চলছে লোকসভা ভোট আর এরই মধ্যে বিরাট ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। সূত্রের খবর বাংলার স্কুলগুলিতে একদম বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু করবে সরকার। স্কুলগুলিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার সিদ্ধান্তের জেরে শিক্ষা ব্যবস্থায় বিপ্লব ঘটবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
প্রশ্ন উঠে আসছে সরকারের হঠাৎ করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণ কি, এর উত্তরে উঠে আসছে এখনকার সময় পুরোটাই অনলাইনের যুগ, লকডাউনের সময় থেকেই বাচ্চারা অনলাইন পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। এবং এর রেশ কিন্তু এখনো পর্যন্ত চলছে।অফলাইন ব্যবস্থা যেন ক্রমে হারিয়েই যাচ্ছে। এখন সবকিছুই অনলাইনে করতে হয়। আগে যেখানে স্কুল থেকে শুরু করে ব্যাঙ্ক বা সরকারি অফিসে কাজের জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে হত এখন এই অনলাইনের যুগে করতে হয় না। এখন সবকিছুই মানুষের হাতের মুঠোর মধ্যে চলে এসেছে। সবকিছুই এখন আধুনিক হয়ে যাচ্ছে, সেখান শিক্ষা ব্যবস্থাই বা পিছিয়ে কেন থাকে।
আরও পড়ুন: Free Cylinder: কোন টাকা ছাড়াই গ্যাস কানেকশন পাবেন বিনামূল্যে! কিভাবে করবেন আবেদন
জানা যাচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের বহু বিদ্যালয় এবং শিক্ষা দফতরের বিভিন্ন অফিসে বিনামূল্যে হাইস্পিড ইন্টারনেট পরিষেবা শুরু হতে চলেছে। স্কুলের সমস্ত কাজ এখন ইন্টারনেটের মাধ্যমে হয় প্রায় সব জায়গাতেই। অনলাইনে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পড়ুয়াদের পরীক্ষার নম্বর থেকে শুরু করে কিছু ডকুমেন্টস পাঠানো বা তৈরি করা সবই এই অনলাইনে করতে হয়। কিন্তু আবার বহু স্কুলে এই বিশেষ পরিকাঠামোটি নেই, যে কারনে স্কুলগুলিকে সমস্যার সম্মুখীন হতে দেখা যাচ্ছে।
সেই কারণই এবার এক ধাক্কায় ১৪,৫০০ট স্কুলে হাইস্পিড ইন্টারনেট সংযোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য। আগামী ৩৯ মাসের জন্য এই বিশেষ ব্যবস্থা চালু থাকবে।মুলত তথ্য প্রযুক্তি দফতর, ওয়েবেলের সঙ্গে যুগলবন্দীতে এই কাজ করতে চলেছে সরকার। এবার স্কুলে স্কুলে পৌঁছে যাবে নেট পরিষেবা। এই নেটের কারণে শিক্ষক-শিক্ষিকা, অফিশিয়াল কাজের পাশাপাশি ছাত্রছাত্রীরাও উপকৃত হবে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দাবি ফ্রীতে ইন্টারনেট ব্যবস্থার মাধ্যমে যে যে সুবিধা গুলি পাওয়া যাবে সেগুলি হলো:-
১) ফ্রি ওয়াইফাই চালু করা হলে স্কুল ছুটি থাকলেও এবার অনলাইন ক্লাস করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। সেক্ষেত্রে আর কোন সমস্যা হবে না।
২) যে সকল বিদ্যালয়ের ইন্টারনেট পরিষেবা নেই সেই সকল বিদ্যালয়ের সরকারি কাজকর্ম করতে আর কোন সমস্যা হবে না। কারণ সেখানে ফ্রি ওয়াইফাই দেওয়া হবে।
৩) অনলাইন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে (Free WIFI Services in School) প্রচুর অজানা বিষয়কে জানার আওতায় নিয়ে আসতে পারেন বিদ্যালয়ে শিক্ষক শিক্ষিকারা।
৪) কম্পিউটার ল্যাবরেটরি থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন নতুন নতুন বিষয় সম্পর্কে অবগত হতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। তাতে তাদের জ্ঞানের ভান্ডার বাড়বে।
৫) ইতিপূর্বে ইন্টারনেট ছাড়া বিদ্যালয়ে গুলিতে অফিশিয়াল কাজকর্ম করতে সমস্যায় পড়তে হতো ছাত্রছাত্রীদের। তবে এবার যেহেতু মধ্যশিক্ষা পর্ষদ বিনামূল্যে ইন্টারনেট পরিষেবা দেবে তাতে আর অসুবিধা হবে না।