AC: শীত যেতে না যেতেই গরমের দাপটে অতিষ্ঠ হয়ে উঠতে শুরু করেছে বঙ্গবাসী। বৈশাখ পরতে এখনো বেশ কিছু দিন বাকি থাকলেও গরমের দাপট দেখলে তা বোঝার উপায় নেই। দিন যতো এগোবে গরমের দাপট যে আরো বাড়বে সে কথা বলাই যায়। আর সেই গরমের হাত থেকে বাঁচতেই এবার অনেকেই এসির দোকানে ভীর জমাচ্ছেন। অনেকেই আবার এসি চালানোর ফলে বিদ্যুৎ বিল কতোটা বেশি আসতে পারে সেই চিন্তাও শুরু করে দিয়েছেন। নিয়মিত এসি চালালে বিদ্যুৎ বিল যে অনেকটাই বেশী আসবে সেটি খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যপার। যদিও এসি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু নিয়ম মেনে চললে অনেকটাই বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। আজকের প্রতিবেদনে জেনে নেওয়া যাক এসি ব্যবহারকারীদের বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের কিছু বিষয়।
এই ১০ বিষয় মনে রাখলে এসি (AC) ব্যবহার করেও কম আসবে বিদ্যুৎ বিল
১. গরমের শুরুতেই নিয়ম মেনে এসি সার্ভিসিং করিয়ে নেওয়া উচিত। মূলত এসির ভেতরে থাকা ভেন্ট গুলি যতো পরিষ্কার থাকবে এসির কম্প্রেসর এর ওপর চাপ ততই কম পড়বে এবং ফলস্বরূপ বিদ্যুত বিল কমবে বেশ কিছুটা।
২. ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি তথা বিইই এর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এসি এর ডিফল্ট তাপমাত্রা থাকা দরকার ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মানবদেহের জন্য একেবারে স্বস্তিদায়ক তাপমাত্রা ও ২৪। অপরদিকে এসির তাপমাত্রা বৃদ্ধি করলে সাশ্রয় হয় প্রায় ৬ শতাংশ করে বিদ্যুৎ। ফলত ১৮ র থেকে ২৪ এ থাকলে বিদ্যুৎ খরচ ও কমবে বেশ খানিকটা।
৩. এসি স্লিপ মোড এ থাকলেও বিদ্যুৎ খরচ কমে, সেক্ষেত্রে রাতে ঘুমানোর সময় এসি স্লিপ মোড করে রাখতে পারেন।
৪. ঘর তাড়াতাড়ি ঠান্ডা যাতে হয় সেই কারনে অবশ্যই এসি চালানোর আগে দরজা জানলা বন্ধ করে দিন।
৫. ঘরে মোটা পর্দা লাগানোর মাধ্যমে ঘরকে অতিরিক্ত গরম হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে পারেন।
৬. এসি(AC) এবং ফ্যান একসাথে চালাতে পারেন। এক্ষেত্রে সুবিধা হলো এসির ঠান্ডা ফ্যানের বাতাসের সাথে সমস্ত ঘরটিতে ছড়িয়ে পরবে ফলে এসির তাপমাত্রা খুব বেশী কমানোর প্রয়োজন পড়বে না।
৭. এসি কেনার ক্ষেত্রে ইনভার্টার এসি কেনা সবথেকে লাভজনক এবং সাশ্রয়ী। এর কারন হলো ইনভার্টার এসির কম্প্রেসার পুরোপুরি বন্ধ হয়না। এতে থাকা সেন্সর ঘরের তাপমাত্রার সাথে সামঞ্জস্য রেখে মোটরটির চলার গতি বাড়িয়ে বা কমিয়ে দেয়।
৮. যেকোন ইলেকট্রিক ডিভাইস তথা টিভি বা ফ্রিজ থেকে তাপ নির্গত হয়। যার ফলে স্বাভাবিক ভাবেই ঘর ঠান্ডা করতে বেশী সময়ের প্রয়োজন হয়। সেই কারনেই এসি চালানোর আগে সেই ঘরে তাপ নির্গত হয় এমন ডিভাইস গুলি বন্ধ করে দেওয়া আবশ্যক।
৯. এসি বেশ কিছুক্ষণ চালানোর পর বন্ধ করলেও অনেক্ষণ ঘর ঠান্ডা থাকে। কাজেই সেই পদ্ধতিটি অবলম্বন করুন। কয়েক ঘন্টা এসি চালানোর পর কিছু সময় এসি বন্ধ করুন। পরবর্তীতে প্রয়োজনে চালান।
১০. রাতের বেলা টাইমার সেট করে রাখতে পারলেও বিদ্যুৎ সাশ্রয় করা সম্ভব। এর কারন আপনার ঘর ঠান্ডা হতে নির্দিষ্ট কতো সময় লাগে তা আপনার জানা। কিন্তু রাতের বেলা ঘর ঠান্ডা হয়ে গেলেও ঘুম থেকে উঠে এসি বন্ধ করতে ভালো লাগেনা কারোরই। সেই কারনেই টাইমার সেট করা থাকলে আপনার ঘর ও ঠান্ডা হয়ে যাবে নির্দিষ্ট সময় পর এসিও বন্ধ হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন: গরম পড়তেই ফ্লিপকার্টে চলছে বিশাল সেল, ‘হাফ’ দামে পাওয়া যাচ্ছে ব্র্যান্ডের স্প্লিট AC!