KK: দেখতে দেখতে কতগুলো বছর কেটে গেল। তবু আজও মানুষের মনে একই ভাবে জায়গা দখল করে রেখেছে জনপ্রিয় গায়ক কেকে (KK) অর্থাৎ কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ (Krishnakumar Kunnath)। কেকে নামেই তার জনপ্রিয়তা ছিল সারা দেশ জুড়ে। ২০২১ সালের ৩১ শে মে অর্থাৎ আজ থেকে ৩ বছর আগে ঠিক এই দিনটাতেই সকলকে ছেড়ে চির বিদায় নিয়েছিলেন জনপ্রিয় নায়ক নিজের জীবনের শেষ দিনটায় স্টেজ শোয়ের হাত ধরেই সকলকে বিদায় জানিয়েছিলেন। কলকাতায় শো করতে এসে তাকে যে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়তে হবে এমনটা হয়তো কেউই আশা করেননি। লাইভ শো শেষ করার পরেই হঠাৎ হার্ট অ্যাটাক হয় অভিনেতার, হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময়ই নিজের শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন সকলের প্রিয় গায়ক। মাত্র ৫৩ বছর বয়সে তার মৃত্যু বলিউডে একটা শূন্যস্থান রেখে গেছিল।
কেকে এর জীবনের কিছু কথা:
কেকে জন্মগ্রহণ করেছিলেন ২৩শে আগস্ট ১৯৬৮ সালে। তিনি একটি মালয়ালি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার বাবা মা এর নাম কুন্নাথ কনকভাল্লি এবং সিএস মেনন। তবে তিনি বড় হয়েছেন নতুন দিল্লিতে। দিল্লির মাউন্ট সেন্ট মেরি স্কুলে পড়াশোনা শেষ করার পর তিনি ঢাবির কিরোরি মাল কলেজ থেকে স্নাতক হন। এরপর কেকে ১৯৯১ সালে জ্যোতির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের কয়েক বছর পর নকুল কৃষ্ণ কুন্নাথ নামে তাদের একটি পুত্র এবং তমরা কুন্নাথ নামে একটি কন্যার জন্ম হয়।
কেকে এর ক্যারিয়ার জীবন :
বলিউডে কেকে র ক্যারিয়ার শুরু হয় যখন তিনি লোইয়াস ব্যাঙ্কস, রঞ্জিত বারোট এবং লেসলে লুইসকে তার ডেমো টেপ দেন। এরপর তিনি ধীরে ধীরে জিঙ্গেল গাইতে শুরু করেন। সান্টোজেন স্যুটিং বিজ্ঞাপনের জন্য একটি জিঙ্গেল গাওয়ার জন্য তাকে ইউটিভির পক্ষ থেকে সুযোগ দেওয়া হয়। কেকে ‘তড়াপ তড়াপ’, ‘ইয়াদ আয়েঙ্গে ওহ পাল’, ‘আঁখো মে তেরি’-র মতো বহু হিট গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। ২৬ বছরের কেরিয়ারে কে কে তামিল, তেলেগু, মরাঠি, মালায়লাম-সহ আরও বেশ কিছু ভাষায় গান গেয়েছেন।
আরও পড়ুন: Teacher Update: কপালে হাত স্কুল শিক্ষক শিক্ষিকাদের, বড় রায় ঘোষণা করলো কলকাতা হাইকোর্ট
তিনি ৪ বছরে ৩৫০০ টিরও বেশি জিঙ্গেল গেয়েছেন। কিন্তু এ আর রহমানই কেকে কে প্লেব্যাক গানের জগতে নিয়ে আসেন। তিনি বিখ্যাত গান গেয়েছিলেন, “কাল্লুরী সালে” এবং “হ্যালো ড. কাদিরের কাধল দেশম থেকে এবং তারপরে AVM প্রোডাকশনের মিউজিক্যাল ফিল্ম মিনসারা কানাভু থেকে “স্ট্রবেরি কানাই”। কেকে যেখানেই থাকুক না কেন তিনি সবসময় সকলের হৃদয়ে থাকবেন।