Earthquake: শুক্রবার (২৮ মার্চ ২০২৫) দুপুর ১২:০৫ মিনিট নাগাদ পশ্চিমবঙ্গের হিঙ্গলগঞ্জ ও হাসনাবাদের কিছু অংশে তীব্র ভূমিকম্প অনুভূত হয়। প্রায় দুই মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা এই কম্পনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা (Earthquake)। একইসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিং, বারুইপুর, নন্দীগ্রাম, মহিষাদল ও মেদিনীপুর-সহ একাধিক জেলায় ভূমিকম্পের তীব্র ঝাঁকুনি অনুভূত হয়। আতঙ্কে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন এবং শাঁখ, ঘণ্টা বাজিয়ে ঈশ্বরের নাম জপ করতে থাকেন।
মায়ানমারে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প, কেঁপে উঠল গোটা এলাকা
এই ভূমিকম্পের উৎস ছিল মায়ানমারে, যেখানে ভারতীয় সময় শুক্রবার সকাল ১১:৫০ মিনিটে রিখটার স্কেলে ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। এর উপকেন্দ্র ছিল মায়ানমারের অন্যতম প্রধান শহর মণ্ডল থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে। বিশাল এই ভূমিকম্পের ফলে গোটা অঞ্চলে একের পর এক আফটারশক (পরবর্তী কম্পন) অনুভূত হচ্ছে, যার মধ্যে কিছু ৭ মাত্রার কাছাকাছি ছিল। এমনকি থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককেও এই কম্পন অনুভূত হয়েছে বলে জানা গেছে।
একদিন আগেই ভূমিকম্প কাশ্মীরে, উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তান
প্রসঙ্গত, এর আগের দিন বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ ২০২৫) দুপুর ১:৫৮ মিনিটে কাশ্মীরেও ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছিল। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৫.২, যার উৎসস্থল ছিল আফগানিস্তানের হিন্দুকুশ অঞ্চল। এই ভূমিকম্পের গভীরতা ছিল ১৮০ কিলোমিটার, যা বেশ গভীর হলেও কাশ্মীর ও আশপাশের এলাকায় কম্পন অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের কারণ ও সতর্কতা
এশিয়া মহাদেশের টেকটোনিক প্লেটের সংঘর্ষই ভূমিকম্পের প্রধান কারণ। ভারতীয় ভূতাত্ত্বিক গবেষণা সংস্থা (IMD) জানাচ্ছে, বাংলা ও সংলগ্ন অঞ্চলে ভূমিকম্পের ঝুঁকি আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়ে গেছে। ভূমিকম্পের সময় খোলা জায়গায় থাকার চেষ্টা করুন, লিফট ব্যবহার করবেন না এবং শক্তিশালী আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলার একাধিক জেলা ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। তাই ভবিষ্যতে এমন আরও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সতর্ক থাকুন, নিরাপদ থাকুন।