Ekchokho.com 🇮🇳

মাত্র ৫০ টাকার খাবার ডেলিভারি করে কত টাকা পান কর্মীরা? জানলে চমকে উঠবেন!

Published On:
WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বর্তমান সময়ে অনলাইন খাবার ও মুদিখানা ডেলিভারি অ্যাপ (Delivery App)-এর চাহিদা যে কতটা বেড়েছে, তা বলাই বাহুল্য। ব্যস্ত জীবনে সময় বাঁচাতে মানুষ এই পরিষেবার ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছেন। তবে আমরা কতজন ভেবে দেখেছি, আমাদের এই সুবিধা দেওয়ার জন্য যারা রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন, সেই ডেলিভারি কর্মীরা (Delivery Workers) ঠিক কতটা উপার্জন করেন? বিশেষ করে, মাত্র ৫০ টাকার খাবার পৌঁছে দিয়ে তারা কত টাকা পান, তা জানার আগ্রহ হয়তো অনেকেরই রয়েছে।

একটি খাবার ডেলিভারি করে কত টাকা উপার্জন করেন কর্মীরা?

নয়ডা (Noida)-র সেক্টর ৪-এ বিভিন্ন ডেলিভারি কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের আয়ের পরিমাণ মূলত প্রতি কিলোমিটারের (Per Kilometer) দূরত্বের ওপর নির্ভর করে। গড়ে, প্রতি কিলোমিটারের জন্য একজন কর্মী ৯-১৫ টাকা উপার্জন করেন। দিন শেষে একজন কর্মী যদি ৩৫-৪০টি ডেলিভারি করতে পারেন, তবে তার আয় দাঁড়ায় প্রায় ৩০০-৬০০ টাকা। তবে এটি নির্ভর করে প্রতিদিনের অর্ডার সংখ্যার (Order Count) ওপর।

উৎসবের সময় বাড়ে আয়, কিন্তু নেই কোনো বোনাস!

উৎসবের সময় যখন অর্ডারের সংখ্যা বেড়ে যায়, তখন কর্মীদের আয়ও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এই কর্মীরা কোনো অতিরিক্ত বোনাস (Bonus) বা উৎসব ভাতা (Festival Allowance) পান না। তারা শুধুমাত্র গ্রাহকদের (Customer) দেওয়া টিপসের (Tips) ওপর নির্ভর করতে বাধ্য হন। তবে, বেশিরভাগ গ্রাহকই টিপস দিতে ইচ্ছুক নন, ফলে এটি সম্পূর্ণই তাদের সদিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল।

কীভাবে কাজ পান ডেলিভারি কর্মীরা?

অনলাইন ডেলিভারি কোম্পানিগুলিতে কাজ করতে হলে বৈধ পরিচয়পত্র যেমন আধার কার্ড (Aadhar Card) এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স (Driving License) থাকা বাধ্যতামূলক। কর্মীদের নিজস্ব বাইক (Bike) বা সাইকেল (Cycle) থাকতে হয়। তবে, কাজের জন্য সংস্থাগুলি (Companies) থেকে কোনো আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয় না। এছাড়া অনেক সময় কর্মীরা দুর্ঘটনার শিকার হন, এবং বেশ কয়েকটি কোম্পানি (Companies) কর্মীদের জন্য বিমার (Insurance) ব্যবস্থা রাখলেও এটি সবক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক নয়।

গ্রাহকের অর্ডার বাতিল: আয় কমার বড় কারণ!

সবচেয়ে বড় চমকপ্রদ বিষয়টি হলো, যদি কোনো গ্রাহক অর্ডার বাতিল করেন বা গ্রহণ না করেন, তবে ডেলিভারি কর্মীদের সেই পণ্য ডিপোতে (Depot) ফেরত নিয়ে যেতে হয়। এমনকি, অনেক সময় তারা চাইলে সেই পণ্য কিনে নিজেদের কাছে রাখতে পারেন, তবে সেক্ষেত্রে তাদের পণ্যের মূল্য নিজে থেকে মেটাতে হয়। এই সমস্ত বিষয়ের কারণে তাদের আয়ে বড়সড় প্রভাব পড়ে। এছাড়া, গ্রাহকের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের শিকার হলে তারা কোম্পানির দেওয়া সেফটি বাটন (Safety Button) বা জরুরি নম্বরের (Emergency Number) সাহায্যে ব্যবস্থা নিতে পারেন।

শেষ পর্যন্ত, এই সমস্ত তথ্য ডেলিভারি কর্মীদের কঠিন জীবনের বাস্তব দিকটি আমাদের সামনে তুলে ধরে। তাই, আমরা যারা অনলাইনে খাবার বা মুদিখানা অর্ডার করি, তাদের উচিত টিপস দেওয়ার মাধ্যমে তাদের প্রতি কিছুটা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।

About Author