Dear Lottery: লটারি হলো পুরোটাই ভাগ্যের ব্যাপার। জিততে পারলেই আপনি হাতে নাতে পাবেন মোটা অংকের পুরস্কার। আর হারলে সেটাও পুরোটাই আপনার ভাগ্য। আসল কথা লটারি (Dear Lottery) পুরোটাই ভাগ্যের খেলা। বহু ব্যবসায়ী শুধুমাত্র এই লটারি বিক্রি করে নিজেদের সংসার চালাচ্ছেন। শুধু লটারি কাটলে অথবা লটারি বিক্রি করলেই হবে না। বেশ কিছু নিয়ম পালন করতে হয় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়কেই। সম্প্রতি সেইসব নিয়মের কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে সংস্থার পক্ষ থেকে। চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক কি কি নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে।
জনপ্রিয় লটারি সংস্থা ডিয়ার লটারি সম্পর্কে তো আপনারা সকলেই জানেন। এই সংস্থার পক্ষ থেকেই বেশ কিছু নিয়মের পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন নিয়ম চালু হতেই লটারিতে প্রাপ্ত আর্থিক পুরস্কারের পরিমাণ অনেকটাই কমে গেছে। যার জন্য লটারি বিক্রির পরিমাণও কমে গিয়েছে। এতে কপালে হাত পড়েছে ব্যবসায়ীদের। তাদের দৈনন্দিন জীবনের রোজগারে বাঁধা পড়ছে।
লটারির (Dear Lottery) নিয়ম অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ পুরস্কার পান। কিন্তু তিনি ছাড়া একাধিক ব্যক্তি ছোটখাটো আর্থিক পুরস্কার পেতেন এতদিন। বর্তমানে নতুন নিয়ম অনুযায়ী, সেই ছোটখাটো আর্থিক পুরস্কারগুলির পরিমাণ আরো কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যেহেতু পুরস্কারের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হয়েছে তার জন্য লটারির টিকিট কেনার আগ্রহ হারাচ্ছেন সবাই। দৈনন্দিন লটারি কেনার প্রবণতা কমে গেছে গ্রাহকদের মধ্যে।
পুরনো নিয়ম অনুযায়ী, ১ কোটি টাকা সর্বোচ্চ পুরস্কার ধার্য করা হতো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে। সেই পুরস্কার এখনো বহাল রয়েছে। কিন্তু তার নিচে ৪ লক্ষ, ২ লক্ষ, ৪৫ হাজার এমনকি ২৫০ টাকারও পুরস্কার ঘোষণা করা হতো। সেই অর্থের পরিমাণ বর্তমানে কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিক্রেতাদের মতে একসময় যিনি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকার লটারি কিনতেন একবারে, এখনও তিনি কিনছেন ঠিকই তবে তার পরিমাণ অনেকটাই কম।
বিক্রি না হওয়া লটারি গুলি খেলা থেকে বাদ পড়ে যেত। ফলে কোন না কোন ক্রেতা অবশ্যই পুরস্কার পেতেন নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ। কিন্তু নতুন নিয়ম অনুযায়ী, বিক্রি না হওয়া লটারিগুলিও খেলার অংশ হিসেবে রয়ে যাচ্ছে। ফলে অনেক সময় দেখা যাচ্ছে লটারি তে যে নাম্বারটি উঠেছে, সেটি বিক্রি হয়নি। যে সমস্ত বিক্রেতারা শুধুমাত্র লটারির ব্যবসা করেই সংসার চালান তারা রীতিমতো সংসার খরচ যোগাড় করা নিয়ে চিন্তায় পড়ে গেছেন। নতুন এই নিয়ম নিয়ে তাই কেউই খুশি নন।