Cyclone Remal Latest Update: বেশ কয়েকদিন ধরে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টিপাত চলছে। স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে রাজ্যবাসী। তীব্র দাবদাহের থেকে মুক্তি মিলেছে। সকালের দিকে রোদ ঝলমলে আকাশ দেখা দিলেও বেলা বাড়ার সাথে সাথে মেঘ-বৃষ্টি হচ্ছে। কিন্তু স্বস্থির সাথে সাথে দুশ্চিন্তার কারণ দেখা দিলো। বৃষ্টির দেখা মূলত দুটি ঘুর্ণবাতের কারণেই দিয়েছিল। আর এই দুটি ঘূর্ণাবর্তের জন্ম নেওয়ার আগে থেকেই শুরু হয়েছে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে নানান আশঙ্কা।
আন্তর্জাতিক আবহাওয়া মডেলের তরফ থেকে গত ১১ মে থেকেই বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে । আর এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম ঠিক করা হয়ে গেছে। যা হলো রেমাল । বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে যে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে তারই যে লেটেস্ট আপডেট মিলেছে তাতে কলকাতাকে নিয়েই চিন্তা বাড়ছে।
একাধিক আবহাওয়া অফিসের তরফ থেকে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আলিপুর আবহাওয়া অফিসের তরফ থেকেও জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হওয়ার জন্য সমস্ত রকম অনুকূল পরিবেশ এখন বিরাজ করছে বঙ্গোপসাগরে। এরই মধ্যে আবার জানা গেল, যে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে সেই ঘূর্ণিঝড় সোজাসুজি কলকাতায় আঘাত আনতে পারে। বুধবার বিকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসের একাধিক মডেলে দাবি করা হয়েছে, এদিকও না, ওদিকও না, ঘূর্ণিঝড় আমফানের মতই ঘূর্ণিঝড় রেমাল সোজাসুজি আছড়ে পড়তে পারে কলকাতায়। এমনকি ঐ সকল একাধিক আবহাওয়ার মডেলের তরফ থেকে কবে এই ঘূর্ণিঝড় কলকাতার বুকে আছড়ে পড়তে পারে এবং কত গতিবেগে আছড়ে পড়তে পারে সবটাই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংকটজনক অবস্থায় রয়েছে তিলত্তমা।
এদিকে একাধিক আবহাওয়া মডেলের তরফ থেকে দাবি করা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড় তৈরি হলে তা আগামী রবিবার সন্ধ্যার পর কলকাতার বুকে আছড়ে পড়তে পারে। কলকাতার বুকে আছড়ে পড়ার সময় ঘন্টায় ৮০ থেকে ১০০ কিলোমিটার গতিবেগে আঘাত হানতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনকি আবহাওয়ার পূর্বাভাস সংক্রান্ত সবচেয়ে ব্যবহৃত দুটি মডেল দাবি করছে, এই ঘূর্ণিঝড় প্রায় আমফানের পথ অনুসরণ করেই এগিয়ে আসতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Dev: ষষ্ঠ দফার লোকসভা ভোটে ঘাটালে উপস্থিত দেব, সকলকে ভোট দেওয়ার অনুরোধ করলেন অভিনেতা
জানা গেছে, শনিবার ও রবিবার বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপটি তৃতীয় শ্রেণীর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে এবং তারপর রবিবার সন্ধ্যা পার করতেই সাগরের কাছাকাছি কোন ভূখণ্ডে তা প্রবেশ করতে পারে। পরবর্তীতে ধীরে ধীরে তা উত্তর-পশ্চিম দিকে এগিয়ে যাবে। যদিও এই ঘূর্ণিঝড় আমফানের মত অতটা শক্তিশালী হবে না বলেও জানানো হয়েছে। তবে এর জেরে কলকাতায় অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে, এছাড়াও ছোট নাগপুর মালভূমিতেও অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।