১২ ফেব্রুয়ারি পেশ হতে চলা রাজ্য বাজেট নিয়ে উচ্ছ্বাস তুঙ্গে। সূত্রের খবর, ১০ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলা বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আসতে পারে। বিশেষ করে শিক্ষাবন্ধু, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং প্যারা-টিচারদের বেতন ও নিয়োগ সংক্রান্ত ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে।
তৃতীয় মেয়াদের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট, বাড়বে সামাজিক প্রকল্পের সুবিধা
এই বাজেট মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃতীয় মেয়াদের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট, যা আসন্ন নির্বাচনের প্রেক্ষাপটে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। মহার্ঘ্য ভাতা (ডিএ) বৃদ্ধির পাশাপাশি, লক্ষ্মীর ভান্ডার, রূপশ্রী এবং কন্যাশ্রীর মতো সমাজকল্যাণমূলক প্রকল্পগুলিতে অতিরিক্ত বরাদ্দের সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে রাজ্য বাজেটে বড়সড় চমকের অপেক্ষায় সাধারণ মানুষ।
শিক্ষাবন্ধুর বেতন বৃদ্ধি
শিক্ষাবন্ধুরা শিক্ষাক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকেন। বর্তমানে প্রায় ১,২০০ জন শিক্ষাবন্ধু রয়েছেন, যারা ৯,২২৭ টাকা ভাতা পান। ২০০৭ সালে বাম শাসনামলে চালু হওয়া এই প্রকল্পে সর্বশেষ বেতন বৃদ্ধি হয়েছিল ২০১৮ সালে। এবারের বাজেটে তাঁদের ভাতা ১১,০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের জন্য সুখবর
প্রায় ২ লক্ষ অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী ও সহকারীদের জন্য সুখবর আসতে পারে। বর্তমানে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীরা ৯,০০০ টাকা এবং সহকারীরা ৭,০৫০ টাকা বেতন পান। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তাঁদের বেতন ৮,২৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৯,০০০ টাকা করা হয়েছিল। এবার আশা করা হচ্ছে, কর্মীদের বেতন ১০,০০০ টাকা এবং সহকারীদের ৮,০০০ টাকা পর্যন্ত বাড়ানো হতে পারে।
প্যারা-টিচারদের বেতন বৃদ্ধি ও নিয়োগ
রাজ্যে ৪৪,০০০ প্যারা-টিচার রয়েছেন, যার মধ্যে ২০,০০০ প্রাথমিক স্তরে এবং ২৪,০০০ উচ্চ প্রাথমিক স্তরে কর্মরত। সর্বশেষ বড় বেতন বৃদ্ধি হয়েছিল ২০১৭ সালে এবং ২০২২ সাল থেকে তাঁদের বেতন বার্ষিক ৫% বৃদ্ধি পেয়ে আসছে। বর্তমানে:
- প্রাথমিক প্যারা-টিচাররা ৯,৭৯৪ টাকা পান
- উচ্চ প্রাথমিক প্যারা-টিচাররা ১২,৭৬৬ টাকা পান
- বিশেষ শিক্ষকরা ১২,২৭১ টাকা পান
সূত্রের খবর, নতুন প্যারা-টিচার নিয়োগের পাশাপাশি এবারের বাজেটে তাঁদের বেতন উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়তে পারে। আসন্ন রাজ্য বাজেট শিক্ষা ও সমাজকল্যাণ ক্ষেত্রে বড়সড় পরিবর্তন আনতে পারে। বেতন বৃদ্ধি এবং নতুন নিয়োগের সম্ভাবনা সাধারণ মানুষের মধ্যে আশার আলো জাগিয়েছে। বাজেট ঘোষণার পর রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্র ও সমাজকল্যাণ প্রকল্পে কী পরিবর্তন আসে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।