লেটেস্ট খবর বিনোদন অফবিট রাশিফল পশ্চিমবঙ্গ ভারত খেলা চাকরি টাকা পয়সা টেক আবহাওয়া পলিসি

Bankura Weather: বাঁকুড়ায় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি! কৃষিক্ষেত্রে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা! 

Published on:

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

Bankura Weather: শুক্রবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের আকাশ কালো মেঘে ছেয়ে যায়, আর তার পরপরই শুরু হয় প্রবল ঝড়-বৃষ্টি। আবহাওয়া দফতরের (weather office) পূর্বাভাস মতোই বাঁকুড়াসহ আশপাশের জেলাগুলিতে ভারী বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টি দেখা যায়। বিশেষ করে বাঁকুড়ার খাতড়া মহকুমায় এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের তীব্রতা ছিল অনেক বেশি।

শুধু খাতড়া নয়, রানিবাঁধ ও রাইপুরের মতো বিভিন্ন ব্লকেও প্রবল ঝড়-বৃষ্টির সঙ্গে শিলাবৃষ্টি হয়। ঝোড়ো হাওয়ার তীব্রতায় বহু গাছ উপড়ে পড়েছে, বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, এবং জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। এমনকি বিদ্যুৎ সংযোগেও বেশ কয়েকটি জায়গায় সমস্যা তৈরি হয়েছে।

কৃষিক্ষেত্রে বড় ক্ষতির আশঙ্কা

বৃষ্টির ফলে সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যেমন প্রভাব পড়েছে, তেমনই কৃষক মহলেও দেখা দিয়েছে উদ্বেগ। কৃষকদের একটি বড় অংশ রবি শস্য চাষ ও সবজি চাষের উপর নির্ভরশীল। এই সময়ে মাঠে থাকা ফসল ও সবজি চাষে শিলাবৃষ্টির কারণে ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।

শুক্রবার সকাল থেকেই বাঁকুড়া এবং আশপাশের জেলাগুলিতে দফায় দফায় বৃষ্টি হচ্ছে, যার ফলে জল জমে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে যেসব কৃষক ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন, তারা বড় সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। বৃষ্টির কারণে ফসল নষ্ট হলে ঋণ শোধ করা কঠিন হয়ে উঠবে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।

ঝড়-বৃষ্টির প্রভাব ও ক্ষতির পরিমাণ

শুক্রবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এই দুর্যোগে বিভিন্ন এলাকায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যেসব জমিতে ইতিমধ্যে চাষ হয়েছে, সেখানে ব্যাপক জল জমলে শিকড় পচে যেতে পারে। শিলাবৃষ্টির ফলে ধান, গম, সরষে, আলু ও অন্যান্য সবজির ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

বাঁকুড়া ছাড়াও পুরুলিয়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং বীরভূমের বিভিন্ন এলাকায় এই বৃষ্টিপাতের কারণে কৃষকরা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন।

আগামী কয়েকদিনের আবহাওয়ার পূর্বাভাস

আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী রবিবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় এই ধরনের ঝড়-বৃষ্টি চলতে পারে। তাই এই সময়ে কৃষকদের আরও সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কৃষি বিশেষজ্ঞদের মতে, জল জমে গেলে দ্রুত নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে ফসলের আরও বেশি ক্ষতি না হয়। এছাড়া, যারা সবজি চাষ করেছেন, তাদের দ্রুত মাঠ পরিদর্শন করে গাছগুলির উপর নজর রাখতে হবে।

প্রকৃতির এই আকস্মিক রূপ পরিবর্তন সাধারণ মানুষের পাশাপাশি কৃষকদের জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। একদিকে যেখানে গ্রীষ্মের দাবদাহ থেকে স্বস্তি এনে দিয়েছে বৃষ্টি, অন্যদিকে কৃষকদের মাথায় নতুন দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে শিলাবৃষ্টি। বৃষ্টি যদি নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় হতো, তাহলে কৃষিক্ষেত্রে উপকার হতে পারত, কিন্তু অতিরিক্ত বৃষ্টি ও শিলাবৃষ্টির ফলে ক্ষতির আশঙ্কাই বেশি। কৃষকরা সরকারি সহায়তা এবং কৃষি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন, যাতে এই দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়।

আরও পড়ুন। Ration Card: ১ এপ্রিল থেকেই বন্ধ হতে পারে রেশন, বাতিলের তালিকায় থাকতে পারে আপনার কার্ড !!

About Author