Apollo Hospitals: ভারত ক্রমশ উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। তবুও দেশ জুড়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভালো চিকিৎসা পাওয়া বিভীষিকা হয়ে রয়েছে। বেসরকারি ক্ষেত্রে চিকিৎসা করালে তো লক্ষাধিক টাকার বিল এসে চাপে মানুষের উপর। অনেককেই আবার সেই টাকার ভারে দেউলিয়া হতেও দেখা যায়। কবে গরীব মানুষ ভালো চিকিৎসা পাবেন এবং তাদের জীবনের ঝুঁকি কমবে এই বিষয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিলো সুপ্রিম কোর্ট। আসল ঘটনা কি জানতে চাইছেন? তাহলে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন।
সাধারণ মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা প্রদানের জন্য নেওয়া হলো বড় পদক্ষেপ
জানা যাচ্ছে মাত্র এক টাকার বিনিময়ে ১৫ একর জমিতে অ্যাপোলো গ্রুপের (Apollo Hospitals) তরফে হাসপাতাল তৈরি করা হয়। এরকমই খবর আসছে ইন্দপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের (Apollo Hospitals) সম্পর্কে। জানা যায় হাসপাতাল তৈরির সময় নো প্রফিট নো লসের শর্তে তৈরি হয় হাসপাতালটি। যার লক্ষ্য ছিল গরীব মানুষদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়া। কিন্তু বর্তমানে সেইসব শর্ত না মেনে রমরমিয়ে উচ্চমূল্যে চিকিৎসা দিয়ে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আসে।
জানা গিয়েছে এই অ্যাপোলো হাসপাতালে (Apollo Hospitals) বিনা পয়সায় পরিষেবা দেওয়া তো দূরের কথা বেসরকারি হাসপাতালের মতো উচ্চ মূল্যে দেওয়া হচ্ছিল চিকিৎসা পরিষেবা। এখানে গরীব মানুষ তো দুর কিছু ক্ষেত্রে ধনীদের ক্ষেত্রেও অর্থনৈতিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেখানে সর্বমোট রোগীর ৪০% বিনামূল্যে পরিষেবা পাওয়ার কথা সেখানে কোনো রোগীর পরিবারের ক্ষেত্রে কোনো চার দেওয়া হতো না। সুপ্রিম কোর্টের তরফে সাফ জানানো হয় যদি এই অ্যাপোলো হাসপাতালে (Apollo Hospitals) বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নিয়ম না মেনে চলে তবে AIMS হাসপাতালকে দায়িত্ব হস্তান্তর করা হবে।
এদিন দিল্লি সরকারের উপরে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং এন কোটেশ্বর সিং মহাশয়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয় যে গরীব মানুষের চিকিৎসার কথা না ভেবে যদি দিল্লি সরকার অর্থ উপার্জনের পথ বেছে নেয় তবে সেটা খুব লজ্জাজনক কাজ। এছাড়াও চুক্তি অনুযায়ী ৩০ বছরের জন্য লিজ দেওয়া হয়েছিল যা ২০২৩ সালেই শেষ হয়েছে। ফলে নতুন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে কিনা সেই বিষয়টা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন মহামান্য আদালত।
শুনানির আগে সময় এক মাসের একদিন এজলাসে কোর্টের তরফে অ্যাপোলো হাসপাতালের (Apollo Hospitals) কর্তৃপক্ষকে সমস্ত প্রয়োজনীয় নথি সহ হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকেও তথ্য চেয়ে পাঠানো হয়েছে। জানা যাচ্ছে আগামী মাসে এর পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্দিষ্ট হয়েছে। আশা করা যায় গরীব মানুষের পক্ষেই রায় দেবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।