Ananya Panday: আম্বানিদের বিয়ে শেষ হবার পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার হট টপিক হল হার্দিক অনন্যার প্রেমের গুঞ্জন। দুজনকে একসঙ্গে আম্বানি অনুষ্ঠানে চুটিয়ে নাচ করতে দেখা গিয়েছে। তারপর থেকেই নাকি তাদের মধ্যে মন দেওয়া নেওয়া চলছে। কয়েকদিন আগেই নিজের প্রথম স্ত্রী নাতাশার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে হার্দিক পান্ডিয়ার। অন্যদিকে অনন্যা এবং আদিত্যর ব্রেকআপ হয়েছে।
তারপর থেকেই নাকি হার্দিক অনন্যা একে অপরের প্রতি মন দেওয়া করছেন। এমনিতেই তো সেলিব্রিটিদের নিয়ে দিনরাত চর্চা হয়ে থাকে। তাদের নিয়ে নানান রকম খবর বেরিয়ে থাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে। তাই এই খবরটাও চাপা রইল না। গুরু পূর্ণিমার দিন অনন্যার এই কাজের জন্য আরো মাথা চারা দিল গুঞ্জন।নেপো-কিড বলে কম বিদ্রুপ সহ্য করতে হয়নি অনন্যা কে এতদিন। মা-বাবা’র মতো ছত্তরপুর ওয়ালে গুরুজির ভক্ত অনন্যা। গুরুপূর্ণিমায় তাঁকে স্মরণ করে হাতে গুরুজির মুখের ছবি খোদাই করা ব্রেসলেট হাতে পরলেন অনন্যা।
View this post on Instagram
গুরুজির ছবি সহ একটি নীল ব্রেসলেট পরেছিলেন অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লেখা ‘গুরু পূর্ণিমা,… শুকরানা’। প্রিন্টেড সাদা পোশাকে পরেছিলেন অনন্যা। গত মাসে অনন্যার বাড়িতে গুরুজির জন্য বিশেষ পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল। সেই ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করে নিয়েছিলেন অভিনেত্রীর মা। লাল কাপড় ও ফুল দিয়ে সাজানো হয়েছে একটি কক্ষ। গুরুজিকে একটি আসনও উৎসর্গ করা হয়েছিল। হেমা মালিনী, জ্যাকলিন ফার্নান্ডেজ, প্রয়াত ঋষি কাপুরের মতো বহু সেলিব্রিটি এই গুরুজির অনুগামী।
গুরুজিসঙ্গত ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট অনুসারে, ভক্তরা এই গুরুজিকে ভগবান শিবের অবতার বলে মনে করতেন। গুরুজি দুগরি ওয়ালে গুরুজি এবং শুকরানা গুরুজি নামেও পরিচিত। তাঁর আসল নাম নির্মল সিং মহারাজ। ১৯৫৪ সালে পঞ্জাবের দুগরি গ্রামে তাঁর জন্ম। গুরুজি ইংরেজি ও অর্থনীতিতে ডাবল এমএ ছিলেন। জলন্ধর, চণ্ডীগড়, পঞ্চকুলা, দিল্লি এবং মুম্বাইয়ে তাঁর ভক্ত সংখ্যা অগুণতি।
জলন্ধরের ডিফেন্স কলোনিতে একটি বাড়িতে বসতি স্থাপন করেছিলেন গুরুজি, যা এখন তাঁর মন্দির হিসাবে পরিচিত। তিনি দিল্লি ও জলন্ধরের নিয়মিত যাতাযাত করতেন ২০০২ সাল পর্যন্ত। অবশেষে তিনি নয়াদিল্লির এমজি রোডের এম্পায়ার এস্টেট হাউসে স্থায়ী হন, যা ছোট মন্দির নামে পরিচিত। ১৯৯০-এর দশকে তিনি শিবমন্দিরও তৈরি করেছিলেন ছত্তরপুরের ভাট্টি খনি এলাকায়। ২০০৭ সালের মে মাসে মৃত্যু হয় গুরুজির। এটি এখন তার সমাধি ঘর।