Aikyashree Scholarship: এই দেশের সরকারের তরফ থেকে তো কত রকম যোজনায় চালু করা হয়েছে জনসাধারণের সুবিধার্থে। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার প্রত্যেক সময় সাধারণ মানুষের সুবিধার কথা ভেবে নানান রকম প্রকল্প নিয়ে এসেছে। ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্ক বৃদ্ধ-বৃদ্ধা প্রত্যেকের জন্যই লড়েছে নানান রকমের আলাদা আলাদা স্কিম। তেমনি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের একটি জনপ্রিয় প্রকল্প হল লক্ষীর ভান্ডারের প্রকল্প।
এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাজ্যের অসংখ্য মহিলারা প্রতিমাসে একটি নির্দিষ্ট অংকের টাকা সাহায্য পেয়ে থাকেন। মূলত মহিলাদের আত্মনির্ভর করে তোলার জন্যই এই প্রকল্প চালু হয়েছে। ২০২১ এই প্রকল্প চালুর পর থেকে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মহিলারা প্রতিমাসে ১০০০ এবং ১২০০ টাকা পেয়ে থাকে। তবে এই প্রকল্প এখন অতীত, খুব শীঘ্রই রাজ্য সরকার একটি নতুন প্রকল্প নিয়ে আসতে চলেছে।
এই নতুন প্রকল্পটির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ১৫ই জুলাই থেকে এবং শেষ আবেদানের তারিখ আগামী ৩০ শে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই প্রকল্পের আওতায় প্রতিবছর ২৪ হাজার টাকা পর্যন্ত আর্থিক সাহায্য দেওয়া হয়। ইতিমধ্যে অনেকেই এই প্রক্রিয়ায় আবেদন করেছেন। তবে এই প্রকল্পটি কেবলমাত্র পড়ুয়াদের জন্য।
প্রাক মাধ্যমিক, উচ্চশিক্ষা এবং পেশাদারী শিক্ষার জন্য পড়ুয়াদের আর্থিকভাবে সাহায্য করার জন্য এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পে যোগ্য পড়ুয়ারা স্নাতকোত্তর স্তরে দু’বছরের জন্য ৪৮ হাজার টাকা পেয়ে থাকে। এমবিবিএস সহ বিভিন্ন ধরনের পেশাদারী পড়াশোনার ক্ষেত্রে বিষয়ের ভিত্তিতে পাঁচ বছরের জন্য প্রতিবছর ২৪ হাজার টাকা করে পাওয়া যায়। বিএড পড়াশোনার জন্য ১৮ হাজার টাকা করে দু’বছর দেওয়া হয়।
এই প্রকল্পটির নাম ঐকশ্রী স্কলারশিপ। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের তরফ থেকে এই প্রকল্প পড়ুয়াদের পড়াশুনায় অর্থ সাহায্য করার জন্য চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের আবেদন শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে এই প্রকল্পে সব সম্প্রদায়ের পড়ুয়ারা নাম নথিভূক্ত করতে পারবে না।
এই প্রকল্পে নাম নথিভূক্ত করতে পারবে কেবলমাত্র পশ্চিমবঙ্গে বসবাসকারী বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, জৈন, পার্সি, মুসলিম, শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত পড়ুয়ারা। এই প্রকল্পের সুবিধা নিতে শেষ পরীক্ষায় অন্ততপক্ষে ৫৫ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে। এর পাশাপাশি ওই পড়ুয়া পশ্চিমবঙ্গের আদি বাসিন্দা হওয়ার পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের কোন সরকারি বা সরকার পোষিত বিদ্যালয়ে পাঠরত হতে হবে।