School: হাতে সাদা খাতা। পেনসিল দিয়ে নিজের নাম লেখার চেষ্টা করছে চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়ারা। একবার লিখছে, একবার রবার দিয়ে ঘষে মুছে ফেলছে। ফের লেখার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু পারছে না কেউ। মাতৃভাষায় নিজের নাম লেখা রপ্ত করতে পারেনি বাচ্চারা।অভিভাবকরাও একই অভিযোগ করছেন। তাদের দাবি স্কুলে (School) তো ঠিকমতো পড়াশোনাই হয় না।
আলিপুরদুয়ার জেলার বিবেকানন্দ ২ গ্রামপঞ্চায়েতের উত্তর জিৎপুর গ্রাম। সেখানে বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের অরণ্য ঘেষা এক আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার পশ্চিম জিৎপুর অ্যাডিশনাল প্রাইমারি স্কুল। এক সময় এখানে পড়ুয়া সংখ্যা ছিল ১৬৫, আর এখনt ৬। আবার খাতায় কলমে শিক্ষকের সংখ্যা ১৪। অথচ চতুর্থ শ্রেণির পড়ুয়াকে এখনও তাঁরা নামের বানান লেখাটুকু শিখিয়ে উঠতে পারেননি।
আলিপুরদুয়ারে প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৮৪০ টি। তারমধ্যে আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় রয়েছে প্রচুর স্কুল। কিন্তু এক এক করে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে স্কুল গুলিতে। এই ঘটনায় শিক্ষকরা তাদের সাফাই দিতে ত্রুটি রাখেনি। অভিভাবক সাবিত্রী মুর্মু বলেন, “ওদের গাফিলতিতে স্কুলের এই হাল। পড়াশোনা ভাল হয় না। আমার বাচ্চা এখও নাম লিখতে পারে না। ক্লাস ফোরে পড়ে। আমরা চাইছি স্কুল ভাল হোক।” স্কুল শিক্ষক দীপঙ্কর বিশ্বাস বলেন, “ওরা তো ছোট। ভুল হবেই। নাম ঠিকই লিখেছে। টাইটেলটা ভুল করেছে।”
এই ঘটনায় ডিপিএসসির চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মণ বলেন, “ঘটনাটি দুঃখের ও লজ্জার। অবিলম্বে স্কুলের বিষয়টি নিয়ে এসআই-কে দিয়ে পর্যবেক্ষন করাব। খতিয়ে দেখব।” আলিপুরদুয়ারে ৮৪০টি প্রাথমিক স্কুলের মধ্যে অনেকগুলোই আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকায় অবস্থিত। আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিতে (School) শিক্ষার এই পরিস্থিতি শিক্ষাবিদদের উদ্বিগ্ন করছে