Malda School: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছে এর আগে। শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে পথে পথে মিছিল করে বেরিয়েছে সাধারণ মানুষ। এবারে সেরকমই শিক্ষকের অভাবে বন্ধ হতে বন্ধ বসেছে একটি স্কুল। রাজ্যের স্কুলে চারটি ক্লাস মিলিয়ে মোট ছাত্র সংখ্যা ৮১ জন, আর শিক্ষক মাত্র একজন। খুব স্বাভাবিকভাবে তার পক্ষে একা সবকটি ক্লাস একবারে নেওয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে সে আবার রোজকার মিড ডে মিলের হিসেব-নিকেশ মিলাতে ব্যস্ত।
যে টুকু সময় মেলে তাও খরচ হয়ে যায় এসআই অফিস, ব্লক প্রশাসনের দরজায় ঘুরতে গিয়ে। শেষমেষ ওই ৮১ জন ছাত্রের শিক্ষার দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিল অষ্টম শ্রেণীর পড়ুয়ারা। পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণীর ভাইদের পড়ানোর দায়িত্ব নিজেদের কাঁধে তুলে নিয়েছে অষ্টম শ্রেণী দাদারা। অনেক সময় সপ্তম শ্রেণির ছাত্ররাও ক্লাস নেয় তাঁদের নিচু ক্লাসের। প্রশ্নের মুখে স্কুলের সামগ্রিক পরিকাঠামো। চাঞ্চল্যকর এই ছবি উঠে এসেছে মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের মহেন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গাংনদিয়া বাংরুয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রের (Malda School)।
শিক্ষার এই বেহাল দশা, স্কুল বন্ধ হওয়ার পথে। তারপরেও কেন শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না এই স্কুলে? কেন শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে এখনো রাজ্যের বিভিন্ন জেলার স্কুল গুলিতে? এই নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন অভিভাবকরা। প্রসঙ্গত, ২০০১ সালে ৬ জন শিক্ষক নিয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা কেন্দ্রটির পথ চলা শুরু। ২০০৩ সালে অনুমোদন পায়। সে সময় দু’জন শিক্ষকের বেতন চালু হয়।
এরপর ধাপে ধাপে ৬ শিক্ষকেরই বেতন চালু হয়। এরপর সময়ের সাথে শিক্ষকরা অবসর নিতে শুরু করেন, একজন শিক্ষক মারা যান। ২০২২ সাল থেকেই সেখানে মাত্র একজন শিক্ষক রয়েছেন। নেই কোনও গ্রুপ ডি কর্মী। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রাহানুল হক বলছেন, আমাকে পড়ানোর পাশাপাশি সমস্ত কাজ করতে হয়।
খাতায় কলমে ওই স্কুলের ছাত্র সংখ্যায় ৮১ হলেও প্রতিদিন সবাই আসে না, হাতেগোনা ৩০ জন মতো উপস্থিত থাকে প্রতিদিন। গোটা স্কুলে অভিভাবকদের দাবি শিক্ষকদের অভাবে ছেলেমেয়েদের ওই স্কুলে পাঠান না তারা। স্থানীয় বাসিন্দা রাহানুল হক, হাসিনা বিবিরা বলছেন, গ্রামে স্কুল হওয়ায় প্রথমে খুব আনন্দ হয়েছিল। তবে বর্তমানে যা অবস্থা তাতে করে এই স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পথে (Malda School)।