Ratna Ghoshal: আজ থেকে কয়েক দশক আগে ১৯৮০ সালের ২৪শে জুলাই বাঙালি হারিয়েছিলেন তাদের প্রিয় অভিনেতা উত্তম কুমারকে। উত্তম কুমারের অকাল প্রয়াণের শোক হয়তো এখনো উঠতে পারেনি বাঙালি। তার মাঝে কেটে গিয়েছে ৪৫ টা বছর। আজও বাঙালি সিনেমা প্রেমীদের মনে জ্বলজ্বল করছে উত্তম কুমারের নাম। যুগ যুগ ধরে তিনি সকলের কাছে মহানায়ক হিসেবে রয়ে গিয়েছেন। আর ভবিষ্যতেও তাই থাকবেন।
এবার মহানায়ক উত্তমকুমারের ৪৫তম প্রয়াণ বার্ষিকীতে আবেগপ্রবণ বর্ষীয়ান অভিনেত্রী রত্না ঘোষাল। অভিনেত্রী জানান প্রথমবার তিনি যখন উত্তম কুমারের সঙ্গে কাজ করেছিলেন তখন তার বয়স মাত্র ৮। মহানায়কের হাত ধরে তার অভিনয় জগতের শিক্ষা শুরু হয়। মহানায়কের সাথে কাটানো প্রতিটা মুহূর্ত আজও তার চোখের সামনে জ্বলজ্বল করে। যদিও মহানায়কের মৃত্যুর পরে বহু অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু তাও মহানায়ক হিসেবে উত্তম কুমার ছাড়া তিনি আর কাউকে ভাবতে পারেন না।
বর্তমান সময়ে উত্তম কুমার ছাড়া মহানায়ক হওয়ার যোগ্যতা কারণ নেই বলেই তিনি মনে করেন। বর্তমানে একাধিক অভিনেতা-অভিনেত্রীদের নামের আগে মহানায়ক তকমা মেনে নিতে নারাজ অভিনেত্রী রত্না ঘোষাল। অভিনেত্রীর জানিয়েছেন “মহানায়ক তকমাটা একমাত্র উত্তমকুমার ছাড়া আর কারোওর পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি না।
কিন্তু আমাদের ইন্ডাস্ট্রি বলে ইনি মহানায়ক, উনি মহানায়ক। কিন্তু মহানায়কের কাছাকাছি যাওয়ার যোগ্যতাও নেই কারোওর। তবে, আমার কথাই তো শেষ কথা নয়। এখানে বলা হচ্ছে, দর্শকেরাও সেটা মেনে নিচ্ছেন। তবে আমার কাছে ইন্ডাস্ট্রিতে মহানায়ক উত্তমকুমার ছাড়া আর কেউ ছিলেনও না এবং হবেনও না।”
অভিনেত্রী আরো জানান উত্তম কুমার মহানায়ক ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন। তিনি বাকি সকল অভিনেতার থেকে অনেক আলাদা। মহানায়ক উত্তম কুমারের কোন গুণ গুলো অভিনেত্রী আজকের তারকাদের মধ্যে মিস করেন? এই বিষয়ে রত্নাদেবী জানান “উত্তমকুমার সব সময় যেটা বলতেন একজন ভাল শিল্পী হতে গেলে ভাল মানুষ হতে হয়, নিজের কাজটাকে সবচেয়ে বেশি ভালবাসতে হয়।” তিনি বলতেন, অভিনয়টা আসলে ফুলের সাজির মত সব কটা ফুল থাকলে তবেই সাজি দেখতে ভাল লাগে। কত মানুষকে সাহায্য করেছেন তিনি, কেউ জানতে পারেনি, কত মানুষকে বাঁচিয়েছেন।
আরও পড়ুন: R Madhavan: মুম্বইয়ে বিলাসবহুল বাংলো কিনলেন মাধবন, দাম শুনলে অবাক হবেন, ছবি দেখে চমকে উঠবেন!