Hydrogen Scooter: বর্তমান সময়ে ইলেকট্রিক চালিত বাইক, স্কুটার এবং চার চাকার প্রচলন বেশি। তাই তো এখন মানুষ ইলেকট্রিক চালিত গাড়ির প্রতিই বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। তাই এখন যারাই বাইক স্কুটার কেনার কথা চিন্তা ভাবনা করছেন তারাও ইলেকট্রিক বাইক বা স্কুটার কেনার কথাই ভাবছেন। আসলে যেভাবে দিনে দিনে পেট্রোল, ডিজেলের দাম বাড়ছে তাতে করে পেট্রোল ডিজেল চালিত গাড়ি চালানো মুশকিল হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
আর অন্যদিকে ইলেকট্রিক স্কুটির চল থাকলেও বিদ্যুতের দাম বাড়ছে তাতে বিদ্যুৎ চালিত স্কুটার বাইক কেনার কথাও ভাবতে পারছেন না মধ্যবিত্ত পরিবার গুলি। অনেক ছেলেমেয়ে স্বপ্ন দেখেন নিজস্ব একটি স্কুটার বাইকের। সেই কথাই চিন্তাভাবনা করে এবার বাজারে নিয়ে আসা হলো সেরকমই একটি দুর্দান্ত ফিচার এর স্কুটার।
সম্প্রতি Joy e-bike সংস্থার পক্ষ থেকে এমন একটি স্কুটার আনা হয়েছে যা জলে ছুটবে। Joy e-bike- চলতি বছরে ভারতে হওয়া মোবিলিটি শো’তে প্রথম জলে ছোটা অর্থাৎ Hydrogen Scooter প্রকাশ্যে আনে। মূলত ডিস্টিল ওয়াটারে চলবে এই স্কুটার। স্কুটারের প্রযুক্তি জলের অণুগুলিকে ভেঙে হাইড্রোজেন অণুগুলিকে আলাদা করবে।
যখনই হাইড্রোজেন আলাদা হয়ে যাবে, সেই সময় এটি ফুয়েক হিসাবে তা ব্যবহার করা সম্ভব। আর তাতেই এই নতুন প্রযুক্তির স্কুটার চলবে। এই স্কুটারে প্রতি ঘণ্টায় মাত্র ২৫ কিলোমিটার ছুটবে। তবে এই স্কুটার চালাতে কিন্তু কোনও ড্রাইভিং লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে না। আপনি এটি ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াই অনায়াসেই চালাতে পারবেন।
এই ইলেকট্রিক স্কুটার এক লিটার জলে ছুটবে ১৫০ কিলোমিটার। তবে Joy e-bike- যে নয়া Hydrogen Scooter প্রকাশ্যে এনেছে তা প্রোটোটাইপ মাত্র। বিক্রির জন্য নয়। প্রযুক্তির পক্ষ থেকে এখনো এই বাইক নিয়ে নানান রকম কাজ চলছে। সমস্ত পরীক্ষা এবং পর্যবেক্ষণ শেষ হওয়ার পরেই সাধারণ মানুষের জন্য এই স্কুটি চালু করা হবে।
উল্লেখ্য, Joy e-bike-এর পেরেন্ট কোম্পানি ওয়ার্ডভিজার্ড হাইড্রোজেন ফিউল সেল এবং ইলেক্ট্রোলাইজার টেকনোলজি এই বিষয়ে একযোগে কাজ করছে। Joy e-bike এর নতুন স্কুটারটি জলে ছুটবে বলে দাবি সংস্থার। এছাড়াও হাইড্রোজেন টেকনোলজি ভারতে মোবিলিটি সেক্টরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেব। আর এই স্কুটি সাধারণ স্কুটির মতো পরিবেশ দূষণও করবে না।