Electric Bill: প্রতিদিনই নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়েই চলেছে। চাল, ডাল, শাক সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, বিদ্যুৎ বিলও বাদ যায়নি। তার উপরে বর্ষাকাল শেষ হতে চললেও আবহাওয়া ঠান্ডা হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই। যার কারণে এখনো ঘরে ঘরে ফ্যান, এসি চলছে। আর যার ফলে বাড়ছে বিদ্যুৎ বিল। এবার থেকে নাকি বিদ্যুৎ খরচ আরও বেড়ে গেলো বাংলার মানুষের জন্য।
ঠিকমত লক্ষ্য করলে বুঝতে পারবেন গতবছরের তুলনায় এবছরে বিদ্যুতের দাম বেশ কিছুটা বেড়েছে। একদিকে যেমন ফিক্সড চার্জ ডাবল হয়ে গিয়েছে তেমনি বেড়েছে মিনিমাম চার্জও। এর ফলে কলকাতা ও পার্শবর্তী অঞ্চলের লক্ষ লক্ষ CESC গ্রাহকদের অবস্থা খারাপ। সাধারণ মানুষ কি করবে সেটা ভেবেই পাচ্ছেন না। মধ্যবিত্তের পকেটে টান পড়েছে (Electric Bill)।
এই অতিরিক্ত বিদ্যুতের (Electric Bill) মাশুলের প্রতিবাদে রাস্তায় নামল অল বেঙ্গল ইলেট্রিসিটি কনজিউমার অ্যাসোসিয়েশন। CESC এর FPPAS এর নাম করে বিদ্যুতের বিল বাড়ানোর প্রতিবাদেই এই কর্মসূচি। এদিন ABECA এর সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস জানান, “বর্ধিত ফিক্সড চার্জ ও মিনিমাম চার্জ প্রত্যাহার করতে হবে রাজ্য সরকারকে।”
সুব্রতবাবু আরও জানান, ‘মিনিমাম চার্জ বৃদ্ধি করার ফলে রাজ্যের ক্ষুদ্রশিল্প ও ক্ষুদ্র কৃষি ধ্বংস করা হচ্ছে। গ্রামের ক্ষেত্রে ঘরোয়া গ্রাহকদের ৩০০ ইউনিট বিদ্যুতের স্ল্যাবে ১৮ পয়সা দাম বাড়ানো হয়েছে। একইসাথে গ্রাহকদের স্মার্টলি লুট করার যন্ত্র স্মার্ট মিটার লাগানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এই সমস্ত জনবিরোধী কাজের প্রতিবাদেই বুধবার পথে নামছি আমরা’।
২৪শে জুলাই CESC ভবনে বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিক্ষোভ ও ডেপুটেশনের কর্মসূচি আয়োজিত হবে। হাজার হাজার গ্রাহকেরা এদিন সাক্ষর করে স্মারকলিপি দেবেন CESC এর অফিসে। অসংখ্য সাধারণ মানুষ ওই বিক্ষোভ মিছিলে হাজির হবেন। সরকারের থেকে তারা জবাব না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাবেন। এবারে দেখার অপেক্ষা সাধারণ মানুষের এই প্রতিবাদের কি প্রতিক্রিয়া হয় সরকারের।
আরও পড়ুন: August Holidays: কোনো চিন্তা ছাড়াই করতে পারবেন ভ্রমণ; এক নজরে দেখে নিন আগস্টের একঝাঁক ছুটির তালিকা!