Ditipriya Roy: তাঁর শুরুটা হয়েছিল ছোটপর্দা থেকেই। ছোট্ট শিশুশিল্পী হিসেবে প্রথম অভিনয় ‘দুর্গা’ ধারাবাহিকে। সে সময়ে তাঁর বয়স মাত্র ৬ বছর। তারপর একে একে ‘অপরাজিত’, ‘তোমায় আমায় মিলে’ সিরিয়ালে দেখা মেলে তার। তারপরেই আসে সৃজিত মুখোপাধ্যায় পরিচালিত ‘রাজকাহিনী’ ছবির প্রস্তাব। তবে উত্থান কিন্তু মূলত ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’র হাত ধরে। কি চিনতে পারলেন?
দিতিপ্রিয়া নামটা এখন আর কারোরই অজানা নয়। রাসমণি চরিত্র তথা এই সিরিয়ালটি জনপ্রিয়তার চূড়ায় তুলে দিয়েছিল তাঁকে।তারপর থেকে আর থামতে হয়নি দিতিপ্রিয়াকে। বাংলা ছবি, ওয়েব সিরিজের পাশাপাশি কাজ করেছেন হিন্দিতেও।
তবে অনেক ছোটো বয়েস থেকে কাজ এর পাশাপাশি বাবার অসুস্থতার কারণে ওই ছোট বয়সেই সংসারের দায়িত্ব কাঁধেও তুলে নেন দিতিপ্রিয়া।সাম্প্রতিক এক সাক্ষাৎকারে দিতিপ্রিয়া জানান, তাঁর বাবা প্রায় যখন সুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তখনি তাঁর কাছে রাণী রাসমণির প্রস্তাব আসে। তিনি পড়তেন ক্লাস নাইন এ। দিতিপ্রিয়া বলেন, তাঁর কাছে দুটি অপশন ছিল, সিনেমা নয়তো সিরিয়াল। তবে ধারাবাহিকে অভিনয় করলে অনেকটা বেশি উপার্জন করা যায়। তাঁর বাবার অসুস্থতার জন্য নবম শ্রেণিতেই তাঁকে সংসারের ভার নিতে হয়েছে। তাতে কী হয়েছে! এখনো যে বাবাকে ‘বাবা’ বলে ডাকতে পারছেন, এটাই তাঁর কাছে সব।
অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পড়াশোনাটাও চালিয়ে গিয়েছেন দিতিপ্রিয়া। ১৪ ঘন্টার বেশি শুটিং করে পরীক্ষা দিয়ে ঘুমানোর সময় পেতেন মাত্র ৩-৪ ঘন্টা। তাঁর মাও সে সময় অনেক পরিশ্রম করেছেন বলেন অভিনেত্রী। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স করছেন তিনি।
আরও পড়ুন: BUDGET 2024-2025: বাজেট নির্ধারণের পরই বড় ঘোষণা নির্মলা সীতারমনার! উপকৃত হবে সাধারন মানুষ
সঙ্গে জীবনে এসেছেন নতুন এক মানুষ প্রেম ভাঙায় তীব্র যন্ত্রণা পেয়েছিলেন তিনি কিন্তু মিউচুয়ালিই সেই সম্পর্ক থেকে বের হয়ে এসেছেন। যখন বুঝেছেন অপর তরফে কোনও ইমোশনাল অ্যাটাচমেন্ট নেই। তিনি বলেন, ‘এক্ষেত্রে কেউ তো কাউকে বলে না, যে বের হয়ে যাও, তাঁর ব্যবহারে বুঝে নিতে হয়।’ রিভুর আগে দিতিপ্রিয়ার জীবনে যে মানুষটি ছিলেন, তিনি ইন্ডাস্ট্রির অন্দরের লোক। একবার প্রেমে ধাক্কা খাওয়ার পর এবার আর টলিপাড়ার কাউকে মনে ধরল না দিতিপ্রিয়ার।