CESC: চলতি বছর গরমকালের প্রদাহ ছিল সবচেয়ে বেশি। দিল্লি থেকে কন্যাকুমারী সর্বত্র তাপমাত্রা ছিল অসহনীয়। রাজধানী দিল্লিতে প্রচন্ড গরমে মৃত্যুর খবর এসেছে। কম যায় না পশ্চিমবঙ্গ। উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে প্রচন্ড দহন জ্বালায় জেরবার হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। এই সময়ে বাড়িতে এসি এবং কুলার ছাড়া এক মুহূর্ত থাকা যেত না।
এদিকে মাসের পর বিপুল অংকের বিদ্যুৎ বিল আশায় মাথায় হাত পড়েছে সাধারণ মানুষের। কারোর বাড়িতে ১০০০ আবার কারো বাড়িতে পাঁচ হাজার এসেছে বিদ্যুৎ বিল তাতে এবার চিন্তায় মাথায় হাত পড়েছে গ্রাহকদের। হাজার হাজার টাকা বিদ্যুৎ বিল এসেছে তিলোত্তমার বাসিন্দা কোয়েল চক্রবর্তী অধিকারীর।
কেবলমাত্র এপ্রিল মাসে তার বিল এসেছে ১২ হাজার টাকার বেশি তাতে চোখে অন্ধকার দেখছেন কোয়েল দেবী। তার বাড়িতে বিদ্যুৎ সংযোগ পরীক্ষা করা হয়েছে কিন্তু তাতে কোনরকম অসংলগ্নতা ধরা পড়েনি। এমনকি মে মাসেও বিল এসেছে প্রচুর। বিলের পিছনে লেখা রয়েছে FPPAS চার্জ।
সেটা কোন মাসে ১০৭ আবার কোন মাসে ১২০ টাকা। কিন্তু এই চার্জ কি। আসলে এর ফুল ফর্ম ফুয়েল এন্ড পাওয়ার পার্সেস এডজাস্টমেন্ট সারচার্জ। জ্বালানি এবং বিদ্যুতের মধ্যে যে সামঞ্জস্য সাধন তার চার্জ নির্ধারণ করে এটি।
২০২২ সালে প্রথমবার বিদ্যুৎ মন্ত্রক এই চার্জ জারি করে। জ্বালানি এবং বিদ্যুৎ ক্রয় খরচ সামঞ্জস্য ভাবে উঠানামা করবে তা বোঝানোর জন্যই এই চার্জ জারি করা হয়। এমনকি সিএসসি ওয়েবসাইটে এই চার্জ এপ্লাই করবার জন্য আবেদন করা হয়ে থাকি গ্রাহকদের। কিন্তু কোনভাবেই চার্জ মেনে নিতে পারছেন না গ্রাহকরা। এই চার্জের বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন সংগঠন।
কেন্দ্রীয় সরকার স্বৈরাচারী মনোভাব গ্রহণ করে সাধারণ মানুষের উপর এই চার্জ চাপিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। যার ফলে সাধারণ মানুষের বিদ্যুৎ বিল বৃদ্ধি পাচ্ছে ক্রমবর্ধমান হারে। ভবিষ্যতে তা নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন গ্রাহকরা।