Kanchan-Sreemoyee: বিয়ের পর এটাই তাদের প্রথম রথ যাত্রা। সোজা রথের দিনও যেমন জগন্নাথ দেবের নাম করেই কাটিয়েছিলেন দিন টা, ঠিক তেমনি উল্টো রথের দিনটাও উযাপন করলেন কাঞ্চন শ্রীময়ী। শুক্রবার সক্কাল সক্কাল কাঞ্চনকে নিয়ে সোজা পৌঁছে গেলেন ইসকনের মন্দিরে। সেখানে জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রার কাছে পুজো দিয়ে উল্টো রথের দিন টা শুরু করলেন তারা।
তবে শুধু কাঞ্চন-শ্রীময়ী একা যাননি , নিয়ে গিয়েছিলেন সপরিবারে ইসকনে পুজো দিতে। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শ্রীময়ী(Kanchan-Sreemoyee) লেখেন, ‘সবাইকে উল্টোরথের শুভেচ্ছা। কলকাতার ইসকনে মাসির বাড়িতে রথযাত্রার শেষ দিনে সপরিবার নিয়ে পুজো দিলাম এবং জগন্নাথদেবের দর্শন করলাম। জয় জগন্নাথ’।
কলকাতার ইসকনের মন্দিরের ভিতর থেকে বেশকিছু ছবি পোস্ট করেছেন শ্রীময়ী চট্টরাজ। শ্রীময়ীর পোস্ট করা ছবি গুলিতে মন্দিরের ভিতরে থাকা জগন্নাথ-বলরাম-শুভদ্রার মূর্তিকে ফুল দিয়ে সাজিয়ে তুলতে দেখা গিয়েছে। কি সুন্দরই না লাগছিল ভগবান কে। ইসকনের মন্দিরের দুই সন্ন্যাসীর সঙ্গেও ছবি পোস্ট করেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। ছবিতে আবার কাঞ্চন-শ্রীময়ীর গলায় মালা দেখা গিয়েছে। কাঞ্চন মল্লিক পরেছিলেন নীল চেক শার্টের সঙ্গে ধূসর রঙের প্যান্ট। আর শ্রীময়ী চট্টরাজ পরেছিলেন সাদা-মেরুন প্রিন্টেড টপ।
উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষ্যে ইসকন মন্দিরের রাধাকৃষ্ণের বিগ্রহও ফুলে ফুলে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। মূর্তিতে পরানো হয়েছিল রজনী গন্ধার মালা। এর সঙ্গে কল্কে ফুল, তুলসী পাতা, পদ্ম ফুল দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছিল। প্রথা অনুযায়ী রথের দিন মাসির বাড়ি যায় জগন্নাথ, বলরাম, শুভদ্রা।
পরপর তিনটি সুসজ্জিত রথে চেপে মাসির বাড়ির উদ্দেশ্যে পৌঁছে যান জগন্নাথ। তারপর মাসির বাড়ি ৭ দিন সময় কাটিয়ে যখন আবার ফিরে আসেন সেই দিনটাকে উল্টো রথ বলা হয়। উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই মালদ্বীপ থেকে হানিমুন সেরে ফিরেছেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। তাদের বিভিন্ন মুহূর্তের ছবি, ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতে। ফেরে এসেই পড়েছিলেন জ্বরে। এখন যদিও তারা সুস্থ।