BSNL 4G Tower: সম্প্রতি জিও এয়ারটেল ভোডাফোন তাদের ট্যারিফ প্ল্যান বাড়িয়ে দিয়েছে। ১৯ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে রিচার্জের খরচ। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই মধ্যবিত্ত মোবাইল ব্যবহারকারীদের মাথায় পড়েছে বাজ। প্রতিমাসে মোটা অংকের টাকা গুনতে হবে রিচার্জ করতে। এদিকে রিচার্জ ছাড়া মোবাইল অচল। এই অবস্থায় একযোগে জনস্বার্থ মামলা করা কিংবা ট্রাইকে অভিযোগ জানানোর মতন নানান কাজ করেও কোনো লাভ হয়নি।
সরকার জানিয়ে দিয়েছে এক্ষেত্রে তারা দায়বদ্ধ নয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশের তুলনায় ভারতের রিচার্জ খরচা অনেকটাই কম। কেউ কেউ আবার বিএসএনএল সিম পোর্ট করতে চাইছেন। ভারত সরকারের রাষ্ট্রায়ত্ব এই টেলিকম সংস্থা এখনো পর্যন্ত তাদের রিচার্জ প্ল্যান বাড়ায়নি। এদিকে জিও এয়ারটেলের তুলনায় অনেকটাই কমে করা যাবে রিচার্জ। থাকছে একগুচ্ছ সুবিধা তাই প্রায় সবাই চাইছেন বিএসএনএল সিম।
মিটবে নেট সমস্যা:
ভারত সঞ্চার নিগম লিমিটেড এবার এক নতুন কাজ করতে চলেছে। এই বিরাট পরিমান গ্রাহকদের চাপে স্বাভাবিকভাবে খুশি তারা। একসময় যে বিএসএনএল সিমের নাম শুনলেই নাক সিটকাতো তিনিও এখন বিএসএনএল সিম নেওয়ার জন্য উতলা। ফোরজি নেটওয়ার্ক নিয়ে যে আপডেট দেওয়া হয়েছে তাতে বহু গ্রাহকরা এবার নিশ্চিন্ত।
এতদিন BSNL সিমে ইন্টারনেট কানেকশন নিয়ে যে গন্ডগোল থাকত তা আর হবে না বললেই চলে। ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় বিএসএনএল জানিয়ে দিয়েছে তারা বেশ কয়েকটি টাওয়ার স্থাপন করবে। ১০ হাজার ফোরজি টাওয়ার তারা ইন্সটল করে ফেলেছে যার ফলে ফোরজি মোবাইল ব্যবস্থায় আর কোন সমস্যা হবে না। দেশ আত্মনির্ভর হচ্ছে আর সেদিকে তাকিয়ে এই বিশেষ প্রযুক্তির হাতে নিয়েছে BSNL।
কোথায় বসছে টাওয়ার:
খুব তাড়াতাড়ি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ফোরজি টাওয়ার ইন্সটল হয়ে যাবে এর ফলে দ্রুতগতির নেটওয়ার্ক পৌঁছে যাবে মানুষের ঘরে ঘরে। নেটওয়ার্কের দ্রুত গতি পাওয়া যাবে যার ফলে আর ইন্টারনেট সংক্রান্ত ঝামেলার মুখে পড়তে হবে না। কোথায় কোথায় বসছে এই টাওয়ার। বিশেষ করে দুর্গম অঞ্চল গুলিতে অর্থাৎ হরিয়ানা পাঞ্জাব উত্তরাখান্ড হিমাচল প্রদেশ এবং পূর্ব উত্তর প্রদেশে বসানো হচ্ছে এই পরিকাঠামো। সবার ঘরে ঘরে যাতে পৌঁছে যায় ফোরজি নেটওয়ার্ক। ইতিমধ্যেই কলকাতার প্রায় ৮ লক্ষ গ্রাহক এই বিএসএনএল সিমে নিজেদের পুরনো সিম পোর্ট করে নিয়েছেন।