Ekchokho.com 🇮🇳

দিলীপ ঘোষ নন একা! এই সব ভারতীয় রাজনীতিবিদরাও ৫৫ বছরের পর করেছেন বিয়ে

আনামিকা সেন, কলকাতা: বিয়ের কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় না—এই কথাটা আরও একবার প্রমাণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । ৬১ বছর বয়সে তিনি সাতপাকে বাঁধা পড়লেন রিঙ্কু মজুমদারের (Rinku Majumdar) সঙ্গে। এই বিয়ে যেন রাজ্য রাজনীতির মঞ্চে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক মহল—চর্চা চারদিকেই। তবে ...

Published on:

Dilip Ghosh

আনামিকা সেন, কলকাতা: বিয়ের কোনও নির্দিষ্ট বয়স হয় না—এই কথাটা আরও একবার প্রমাণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) । ৬১ বছর বয়সে তিনি সাতপাকে বাঁধা পড়লেন রিঙ্কু মজুমদারের (Rinku Majumdar) সঙ্গে। এই বিয়ে যেন রাজ্য রাজনীতির মঞ্চে নতুন আলোচনার সূচনা করেছে। সোশ্যাল মিডিয়া থেকে রাজনৈতিক মহল—চর্চা চারদিকেই। তবে এটি শুধু দিলীপ ঘোষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত নয়, বরং ভারতের রাজনৈতিক ইতিহাসে এমন অনেক নজির রয়েছে যেখানে নেতারা বয়সের ছাপ মুছে ফেলেই জীবনের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেছেন।

সংঘ কি দিলীপ ঘোষের বিয়েতে আপত্তি জানিয়েছিল? Did the Sangha object to Dilip Ghosh’s marriage?

দিলীপ ঘোষের বিয়ে নিয়ে প্রথম থেকেই একটা প্রশ্ন উঠছিল—রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS) কি এই বিয়েতে কোনও বাধা দেবে? কারণ দিলীপ ঘোষ দীর্ঘদিন ধরে সংঘের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। তবে এই আশঙ্কার অবসান ঘটে যখন সংঘের পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়—

WhatsApp Group Join Now
Telegram Group Join Now

“দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) সংঘের প্রচারক নন, তাই তাঁর বিয়েতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।”

এই ঘোষণার পরই স্পষ্ট হয়ে যায়, বিয়ে সম্পূর্ণভাবে তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত, এবং সেই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন তিনি।

দিলীপ-রিঙ্কুর বিয়ে নিয়ে রাজনৈতিক মহলের প্রতিক্রিয়া | Reaction from political circles on Dilip-Rinku’s marriage

বিজেপির এক শীর্ষ নেতা হিসেবে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বরাবরই ছিলেন বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে। এবার ব্যক্তিগত জীবনের সিদ্ধান্তও উঠে এল সংবাদ শিরোনামে। অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, আবার কেউ কেউ কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি।

তবে রিঙ্কু মজুমদার (Rinku Majumdar), যিনি বিজেপির মহিলা মোর্চার নেত্রী এবং দক্ষিণ কলকাতার ওবিসি সেলের সদস্য, বহুদিন ধরেই রাজনীতির ময়দানে সক্রিয়। তাঁদের পরিচয় থেকে প্রেম এবং তারপর বিয়ের সিদ্ধান্ত—সবটাই ঘটেছে পরিণত বয়সে।

অধিক বয়সে বিয়ে: ভারতের রাজনীতিতে এমন ঘটনা নতুন নয়

দিলীপ ঘোষের বিয়েকে কেন্দ্র করে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, বয়স কি বিয়ের বাধা হতে পারে? বাস্তব বলছে—না। ভারতের রাজনীতিতে এমন বহু নেতার উদাহরণ রয়েছে, যাঁরা পঞ্চাশের পর, এমনকি সত্তরের ঘর পেরিয়েও বিয়ে করেছেন। নিচে রইল সেই সমস্ত নাম যাঁদের কাহিনীও কিছু কম চমকপ্রদ নয়:

ভারতের রাজনীতিতে অধিক বয়সে বিয়ের নজির:

রাজনীতিবিদের নামবয়সে বিয়ের সময়স্ত্রীর পরিচিতি
ইভি রামাস্বামী পেরিয়ার৭০ বছর৩১ বছরের তরুণীকে বিয়ে করেছিলেন
বিআর আম্বেদকর৫৭ বছরডঃ সারদা কবীর (৩১)
এম করুণানিধিনিজের থেকে ৪২ বছরের ছোটরাজথি আম্মাল
দিগ্বিজয় সিং৬৭ বছরসাংবাদিক অমৃতা রাই
লক্ষ্মণ শেঠ৭৭ বছর৪২ বছরের মানসী দে
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়৫০-এর পরেঅভিনেত্রী নয়না দাস
সোমেন মিত্র৫৪ বছরশিখা মিত্র
প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সী৫০+দীপা দাশমুন্সী

সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলাচ্ছে—বয়স নয়, গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্কের সমীকরণ

এইসব ঘটনাগুলি আবারও বুঝিয়ে দেয়—সমাজের ধ্যানধারণা বদলাচ্ছে। মানুষ এখন মানসিক শান্তি ও সঙ্গতিপূর্ণ সম্পর্কের মূল্য দিচ্ছেন বয়সের চেয়ে বেশি। রাজনৈতিক ব্যস্ততা ও জনজীবনের চাপে অনেক সময়েই ব্যক্তিগত জীবন স্থির থাকে না। তাই কিছু নেতার ক্ষেত্রে একটু দেরিতে হলেও সম্পর্ক গড়ার সিদ্ধান্ত একেবারেই স্বাভাবিক।

দিলীপ ঘোষের এই বিয়ে রাজনৈতিক না হয়ে বরং এক মানবিক সিদ্ধান্ত। এটি আমাদের শেখায়, বয়স কেবল একটি সংখ্যা মাত্র। জীবনের যেকোনো মুহূর্তে নতুন করে শুরু করা সম্ভব, যদি ইচ্ছা ও সাহস থাকে। ভারতের রাজনীতির পটভূমিতে এমন উদাহরণগুলি আরও একবার প্রমাণ করে দিল—ভালোবাসা ও সম্পর্কের কোনও নির্দিষ্ট বয়সসীমা নেই। প্রতিদিন সকালে দৈনিক আপডেট পেতে অবশ্যই গুগল করুন-Tollywood Online

অবশ্যই দেখবেন: বিয়ে পর্ব মিটতেই হানিমুনে দিলীপ ঘোষ! কোথায় যাচ্ছেন জানলে চোখ কপালে উঠবে