Snan Yatra 2024: মনে করা হয় রথ যাত্রার ১৫ দিন আগে মর্তলোকে আবির্ভাব হয়েছিল জগন্নাথ দেবের।জ্যৈষ্ঠ পূর্ণিমা তিথিতে যজ্ঞ করেছিলেন মনু। আর সেই যজ্ঞের ফল হিসেবে ধরায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন জগতের নাথ। রথ যাত্রার মতো স্নানযাত্রা একটি অত্যন্ত পবিত্র উৎসব হিসেবে পরিগণিত হয়।। সনাতন হিন্দু ধর্মে এই স্নানযাত্রা পালিত হয় বিভিন্ন মন্দিরে মন্দিরে।
জগন্নাথ দেবকে বিভিন্ন ফলের রস ঘৃত মধু চন্দন ইত্যাদি দিয়ে স্নান করানো হয়। ঠিক যেমনভাবে জন্মাষ্টমীতে স্নানের প্রথা রয়েছে ঠিক একইভাবে স্নান করানো হয় জগন্নাথ দেবকে। ২২ শে জুন শনিবার অর্থাৎ আজ স্নানযাত্রা। প্রতিবছর দেব স্নান পূর্ণিমায় যথাযোগ্য মর্যাদায় এই স্নানযাত্রা পালিত হয়।
স্নানযাত্রার রীতি:
এই দিনেই নাকি দেবতারা স্নান করেন। মহাস্নানের আগে পুরীর রত্ন বেদীতে এনে অধিষ্ঠিত করা হয় জগন্নাথকে। তার সঙ্গে আসেন বলভদ্র এবং সবার শেষে সুভদ্রা। তিন ভাই বোনকে নিয়ে যাওয়া হয় স্নান বেদীতে। সেখানে পটবস্ত্র দিয়ে ঢেকে রাখা হয় জগন্নাথ বল ভদ্র এবং সুভদ্রাকে। চামোর এবং তাল পাতা দিয়ে বাতাস করা হয়।। এরপর মঙ্গল আরতি এবং সূর্য আরাধনা চলে। স্নানের পর গণেশ বেশ পরানো হয় তাদের। স্বয়ং মহারাজাকে নাকি জগন্নাথ নির্দেশ দিয়েছিলেন স্নানের পর তার নগ্ন বেশ যাতে কেউ না দেখেন। তাই ১৫ দিন দরজা বন্ধ থাকে সর্বসাধারণের জন্য। ১০৮ কলসি জলে স্নান করে নাকি জ্বর আসে জগন্নাথের। এই সময়ে রাজ বৈদ্যের ওষুধ পথ্য খেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন জগন্নাথ।
রথযাত্রা:
আবার তাকে বাইরে বের করে নিয়ে আসা হয়। আর সেই বিশেষ দিনটি হলো রথযাত্রা। নতুন সাজে সজ্জিত হয়ে ওঠে জগন্নাথ দেব এদিন ভক্তদের দর্শন দেন। শুধুমাত্র পুরী নয় মাহেশ, চুঁচুড়া কাকিনাড়া বিভিন্ন প্রান্তে এই রথযাত্রা যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। স্নান যাত্রা উপলক্ষে পুরীর মন্দিরের মতন ভারতের নানান প্রান্তে আরও বিভিন্ন মন্দিরে চলছে আরম্ভর। সাজিয়ে তোলা হচ্ছে জগন্নাথ বলভদ্র এবং সুভদ্রাকে। চলছে মাঙ্গলিক আচার অনুষ্ঠান এবং মন্ত্র উচ্চারণ।