New Railway Track: ভারতীয় রেলকে বলা হয় ভারতের ফুসফুস। প্রতিদিন কয়েক কোটি মানুষ এই রেলের মাধ্যমে যাতায়াত করেন। ভারতীয় পর্যটনকে এক বিরাট জায়গায় নিয়ে গিয়েছে ভারতীয় রেল। ইতিমধ্যেই হিমালয়ের বুক চিরে রেললাইন তৈরি করতে বদ্ধপরিকর ভারতীয় রেল। হিমালয় থেকে গড়ে উঠেছে সেবক রংপো হিমালয়ান রেলওয়ে। অন্যদিকে উত্তরাখণ্ডে চলছে এক বিরাট কর্মযজ্ঞ।
ঋষিকেশ কর্ণপ্রয়াগ রেল লাইনে চলছে কাজ। উত্তর রেলের জিএম শোভন চৌধুরী মুশৌরীতে একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন ২০২৬ সালের মধ্যেই হিমালয়ের মধ্য দিয়ে এই রেললাইন পাতার কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। বলা যেতে পারে চার পবিত্র ধাম একসঙ্গে জুড়ে যাবে এই রেলপথের মাধ্যমে। তারপরে আর আকাশ পথে যাতায়াত করার দরকার পড়বে না। রেলপথের দৈর্ঘ্য রাখা হয়েছে 125 কিলোমিটার। ইতিমধ্যেই 105 কিলোমিটার রেললাইন পাতার কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে।
এই পুরো অংশে রেল লাইনের কাজ শেষ হতে আর বেশ কিছু সময় লাগবে। ১৬টি প্রধান রেল সেতু এবং ছোট্ট চারখানা রেল সেতু একসাথে যোগ হবে। প্রায় ২৮ বছর ধরে প্রতীক্ষার পর অবশেষে আলোচনার মধ্য দিয়ে রেলের গতি আরও সম্প্রসারিত হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর মসনদে নরেন্দ্র মোদী বসার পর থেকেই ঋষিকেশ কর্ণপ্রয়াগের মাঝে রেললাইন নির্মাণের কাজ শুরু হয়ে যায়। রেললাইন নির্মাণের ফলে যমুনোত্রী গঙ্গোত্রী বদ্রীনাথ এবং কেদারনাথের যাত্রা আরো বেশি সুগম হতে চলেছে।
শুধুমাত্র স্থানীয় বাসিন্দা কিংবা পর্যটক নয় ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রেও এই রেলপথ বিশেষ কার্যকরী হবে। ৬ ঘণ্টার যাত্রা কমে আসবে মাত্র ২ ঘন্টায়। ১৫.২ কিলোমিটার লম্বা এই পথ রয়েছে। ১২ টি স্টেশন, ১৭টি রেল সেতু রয়েছে। সব মিলিয়ে ঋষিকেশ যোগ নগরী শ্রীনগর তেহরী শিবপুরি দেবপ্রয়াগ ডুংরিপন্থ রুদ্রপ্রয়াগ এবং চামলি জেলার কর্ণপ্রয়াগ একসাথে মিলে যাবে এই রেল লাইনের হাত ধরে।