Kanchan-Kalyan: একসময় তাকে অপমান করে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিয়েছিলেন জেলার বর্ষিয়ান নেতা। বলেছিলেন তিনি গাড়িতে থাকলে নাকি মহিলারা রিঅ্যাক্ট করছেন। কাঞ্চন গাড়িতে থাকলে ভোটে জেতা কিছুটা কঠিন হয়ে যাবে। সেই কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেছেন হুগলির শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে।
তবে কি কাঞ্চনকে (Kanchan Mullick) গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়াতে কিছুটা সন্তুষ্ট হয়েছেন মহিলারা। বিদায়ী সাংসদ গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়ায় যথেষ্ট মনক্ষুন্ন হয়েছিলেন কাঞ্চন। এরপরে তাকে সসম্মানে নিজের কেন্দ্রে নিয়ে যান অভিনেতা তথা তৃণমূল সাংসদ দেব। দেবের হয়ে প্রচার করে আসেন তিনি। কল্যাণের অভিযোগ ছিল নিজের কাজ নাকি ঠিকঠাক করে করছেন না কাঞ্চন।
অথচ প্রতিদিন নিয়ম করে নিজের কার্যালয় থেকে মানুষকে সুযোগ-সুবিধা পাইয়ে দিচ্ছেন। প্রথমবার রাজনীতির ময়দানে এসে বিধায়ক হয়ে বিধানসভায় পৌঁছে গিয়েছেন কাঞ্চন। এরপর তৃণমূলের বিভিন্ন মিটিং মিছিল প্রচারে তাকে দেখা গিয়েছে। যদিও কাঞ্চনের পরকীয়া এবং পরবর্তীকালে তৃতীয় বিয়ে তার রাজনৈতিক জীবনে বড় ফ্যাক্টর হয়েছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই নাকি দল তার থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখছে। যদিও সেসব কথা পাত্তা না দিয়ে কাঞ্চন চলেন আপন খেয়ালে।
একসময় তাকে অপমান করা কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জেতার খবর শুনেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করলেন কাঞ্চন। শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের চতুর্থবারের সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার জন্য ও বিশাল জয় পাওয়ার জন্য শ্রী কল্যান বন্দ্যোপাধ্যায়কে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এভাবেই নিজের এলাকার সাংসদকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কাঞ্চন। একই সঙ্গে গোটা রাজ্য জুড়ে তৃণমূলের এই ঝড়কে স্বাগত জানিয়েছেন দলের বিধায়ক। এই জয় মানুষের রায় এবং স্বতঃস্ফূর্ততার জয় বলে মনে করেন অভিনেতা তথা তৃণমূল বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক।